সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
বরিশাল আদালতের গারদ খানায় বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবীতে সরকার বিরোধী শ্লোগান দিয়েছে আটককৃত বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এ অপরাধে শ্লোগানের মুল হোতা ভেবে চুরি মামলার এক আসামিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (০৬ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনে জেলা গারদ খানায় এই ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানাগেছে, সরকার বিরোধি কর্মকান্ডের অভিযোগে উজিরপুর থানা পুলিশের দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আটককৃত থানা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক আলম রাঢ়ীসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের গতকাল আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হলে তাদের জেলা গারদে রাখা হয়। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গারদে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।এসময় গারদে থাকা অন্যান্য মামলার আসামিরাও তাদের সাথে ‘‘জেলের তালা ভাঙবো খালেদা জিয়াকে আনবো’’ বলে শ্লোগান দেয়ার পাশাপাশি গারদ খানার দড়জার শিক ধরে টানাটানি করে। শ্লোগান না থামাতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে গারদের ভিতরেই আসামিদের মারধর করে গারদ পুলিশ। সেই সাথে শ্লোগানের মুল হোতা ভেবে চুরি মামলার আসামি আরিফুর রহমানকে গারদের ভিতর থেকে পুলিশের ডিউটি কক্ষে বের করে পুনরায় মারধর করে। এতে আরিফুর অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।কিন্তু সামনে বের করার পরে আরিফের জ্ঞান ফেরার পর সে পুলিশের কাছে ক্ষমা চায় গারদে বসে ভুল করার জন্য। কিন্তু পুলিশ তার এ ক্ষমা চাওয়ায় পুনরায় ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে। এসময় আরিফের ডাক চিৎকারে আদালপাড়ার লোকজন ভির করে গারদখানার সামনে। এতে পরিস্থিতি আরো উতপ্ত হয়ে উঠলে খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন ওই গারদের দায়িত্বে থাকা জেলা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে তিনি গারদে থাকা রাজনৈতিক মামলার সকল আসামিদের জেল খানায় পাঠিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।এ ব্যাপারে জেলা গারদ খানার অন্য আসামী উজিরপুর থানা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক আলম রাঢ়ী বলেন, তারা বিরোধী দলের কর্মী বলে তাদের অমানুষিকভাবে মারধর করেছে পুলিশ। গারদের ভিতরেও আরিফুর রহমানকে মারধর করে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি এর বিচার আল্লাহ হাতে তুলে দিয়েছেন।এ ব্যাপারে জেলা গারদ খানার টিএসআই তোফায়েল বলেন, গারদের ভিতরে তারা উশৃঙ্খলতার সৃষ্টি করলে সেখানে হৈচৈ শুরু হয়ে যায়। পুলিশ বাধ্য হয়ে আসামীকে গারদ খানা থেকে বাহির করে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি শান্ত হলে পুনরায় আরিফুর রহমানকে নিয়ে আসে।এ ঘটনায় কোর্ট ইন্সপেক্টর (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন নিজেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে কোর্ট পুলিশ আলম ঢ়ারী ও আরিফুর রহমানকে উশৃঙ্খল দাবী করে এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য মেট্রো গারদের আসামী সুজন খান ওরফে সুমনের সাথে জেলা গারদের সুজনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রকাশ করেন জেলা গারদের অন্যন্য পুলিশ সদস্যরা।
Leave a Reply