রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ অল্প বৃষ্টিতেই বিদ্যালয়ের মাঠ যেন জলাবদ্ধতা হয়ে যায়। পানি নিষ্কাশনের জন্য নেই কোনো ব্যবস্থা! করোনাকালে বিদ্যালয় বন্ধ। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসে না। জলাবদ্ধতা থাকায় খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার কুকুয়া হাট শহীদ সোহরাওয়ার্দী মাধ্যমিক ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠটি বছরের প্রায় ৬ মাস জলাবদ্ধ হয়ে থাকে। এতে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্কুলের শত শত শিক্ষার্থীরা।
উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠ হিসেবে কুকুয়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠটি পরিচিত। প্রতিবছর ওই বিদ্যালয় মাঠে উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় বড় ফুটবল টুর্নামেন্ট ও অন্যান্য খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে মাঠের অবস্থা ভালো না থাকার কারনে কোনো খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। বিদ্যালয়টির পূর্বপাশে কুকুয়া নদীতে বেড়িবাঁধ না থাকায় স্বাভাবিক জোয়ার এবং বিভিন্ন জোতে নদীর পানিতে বছরের ৬ মাস বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি তলিয়ে থাকে।
এ কারনে ওই এলাকার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থাণীয় যুবসমাজ খেলাধুলা করতে পারছেনা। এতে শিক্ষার্থী ও যুবসমাজ দিনদিন খারাপ কাজের সাথে বিশেষ করে মাদকাসক্তের দিকে ঝুকে পড়ছে।
অপরদিকে প্রতি রবিবার বিকেলে সাপ্তাহিক হাট বসে মাঠটিতে। বাজারের যত ময়লা আবর্জনা ও কাচা মালের পঁচা অংশ অবশিষ্ট থাকে তা ওই মাঠেই ফেলে যায় বিক্রেতারা। এতে ওই এলাকার পরিবেশও দুর্গন্ধময় হয়ে উঠে।
একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, বছরের ছয়মাস আমাদের বিদ্যালয়ের মাঠটি পানিতে তলিয়ে থাকায় আমরা কোন খেলাধুলা করতে পারছিনা। এক সময় এ মাঠে উপজেলার সবচেয়ে বড় ফুটবল টুর্নামেন্ট ও অন্যান্য খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হত। যা এখন বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা জাতীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে বেরিবাঁধটি নির্মাণ এবং খেলার মাঠটি ভরাট করে দেওয়া হয়। যাতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থাণীয় যুবসমাজ আবারো ওই মাঠে খেলাধুলা করতে পারে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম বলেন, বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের বেরিবাঁধটি নির্মাণ এবং খেলার মাঠটি ভরাটের জন্য চেষ্টা করছি। মাঠটিতে ৬ মাস ধরে পানি জমে থাকায় বর্তমানে শিক্ষার্থীসহ এলাকার যুবসমাজ খেলাধুলা করতে পারছেনা। তাই জরুরী ভিত্তিতে খেলার মাঠটি ভরাট করা প্রয়োজন।
কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. বোরহান উদ্দিন আহমেদ মাসুম তালুকদার মুঠোফোনে বলেন, বিদ্যালয় সংলগ্ন বেরিবাঁধটি এবং খেলার মাঠটি খেলাধুলার উপযোগী করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, বিদ্যালয়ের পাশে বেরিবাঁধ নির্মাণ এবং মাঠ ভরাটের বিষয়ে পাউবো, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply