বরগুনার বেতাগীর বেড়েরধন নদীর লোহার সেতু এখন মরণফাঁদ Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৬ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




বরগুনার বেতাগীর বেড়েরধন নদীর লোহার সেতু এখন মরণফাঁদ

বরগুনার বেতাগীর বেড়েরধন নদীর লোহার সেতু এখন মরণফাঁদ

বরগুনার বেতাগীর বেড়েরধন নদীর লোহার সেতু এখন মরণফাঁদ




বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের জলিশাবাজার ও পার্শ্ববতী পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ডোকলাখালী গ্রামের সংযোগস্থলে বেড়েরধন নদীর ওপরে লোহার সেতুটি গত ৫ বছর যাবৎ জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেতু’র ওপর স্লিপারগুলো ধসে পড়ায় এবং মেরামত না করায় বর্তমানে জনসাধারণের ঝুঁকি নিয়ে চলাচলে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দুর্ভোগে রয়েছে ১৬ হাজার ভুক্তভোগী জনসাধারণ।

 

 

বেড়েরধন নদীর ওপর ১৯৯৫ সালে ৩৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে জেলা পরিষদের অর্থায়নে সেতুটি নির্মিত হয়। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে জলিশাবাজারের ব্যবসায়ীদের মালামাল মিনি ট্রাকে করে আনার সময় ওপরের কয়েকটি পাটাতন ধসে পড়ে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে এক এক করে সিমেন্টের তৈরি স্লিপার ধসে পড়ে। দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

 

 

লোহার তৈরি ক্রস এ্যাঙ্গেলগুলো মরিচা ধরেছে। সেতুর ওপর সিমেন্টের তৈরি পাটা ধসে যাওয়ায় বর্তমানে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর স্লিপার ধসে যাওয়া স্থানগুলোতে কাঠের তক্তা ও সুপারি গাছ বিছিয়ে লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।

 

 

বিধ্বস্ত এ সেতুটি জনসাধারণের জন্য চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে যা চলাচলের একদম অযোগ্য। বিকল্প কোনো যাতায়াত পথ না থাকায়, মরণফাঁদ জেনেও পার হচ্ছে গ্রামবাসীসহ কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা। সীমাহীন এ দুর্ভোগে পড়েছে ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১টি কলেজ, ১টি মাদরাসাসহ ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশুসহ সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকার ১৬ হাজার পরিবার দুর্ভোগে রয়েছে।

 

 

বিপাকে পড়েছে মোটরবাইক, ইজিবাইক, অটো, টেম্পো, অটোরিকশা ও ভ্যানসহ অভ্যন্তরীণ এ রুটে চলাচলকারী বাহনের চালকরা। ভ্যানচালক করিম খান জানায়, ‘আগে ভ্যান চালিয়ে ভালোভাবে সংসার পরিচালনা করতে পারতাম, এখন সেতু’র বেহাল দশায় পরিণত হওয়ায় পেশা পরিবর্তন করে দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে।’

 

 

সেতুর ওপরের ধসে যাওয়া অংশে এক বছর পূর্বে স্থানীয় বাসিন্দা আলহাজ্ব আবদুর রউফ তাঁর নিজ অর্থায়নে কাঠ ক্রয় করে সাময়িকভাবে মেরামত করে দেন। কিন্তু যোগাযোগের তাগিদে প্রতিনিয়ত সেতু দিয়ে মোটরবাইক, রিকশা, ভ্যান, সেই সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের কারণে এখন কাঠও ভেঙে গেছে। শিশু ও বৃদ্ধরা ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে মাঝে মাঝে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। বর্তমানে জরাজীর্ণ ও নড়বড়ে অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। কয়েকজন স্কুল শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানিয়েছেন, মৃত্যুফাঁদে পা দিয়ে জীবন হারাতে হয় কিনা এমন চিন্তায় প্রতিদিন ছোট শিশুদের স্কুলে পাঠিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হয়।

 

ভুক্তভোগী গ্রামবাসী জরুরি ভিত্তিতে মরণ ফাঁদে পরিণত হওয়া সেতু সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

 

স্থানীয় বাসিন্দা ও সমাজসেবক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘ব্রিজটি যেহেতু ১৯৯৫ সালে নির্মাণ করা হয়েছে এবং এখন নতুন করে পুনঃ সংস্কার করা দরকার।

 

 

হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান খান বলেন, ‘বেশ কয়েকটি প্রকল্পে ইতিমধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে অল্প সময়ের মধ্যেই দরপত্র আহবান করা হবে।

 

 

বেতাগী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাকসুদুর রহমান ফোরকান বলেন, ‘বেতাগীর এই সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ অচিরেই এ সমস্যা সমাধান করা হবে।’

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD