রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন
বাউফল প্রতিনিধি॥ বরিশালে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাঙচুর করার অভিযোগে জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী আদালতে মামলা হয়েছে।
৪৬ বছর পরে মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বাউফল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল হক পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক মো. জামাল হোসেন আগামী ১৯ ডিসেম্বর আদেশের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করার পর বরিশালে পেশকার বাড়ির সামনে দিয়ে তৎকালীন ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলে আ স ম ফিরোজের নেতৃত্বে হামলা করা হয় এবং তৎকালীন অশ্বিনী কুমার টাউন হলের উত্তর পাশে আওয়ামী লীগ অফিসে ঢুকে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করা হয়। এ সময়ে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঢুকেও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করা হয়।
বাদী জাহিদুল হক বলেন, সম্প্রতি আ স ম ফিরোজ বাউফলের দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ১৯৭৫ সালের ওই ঘটনা উল্লেখ করেন এবং বলেন এতে তার কিছুই হয়নি। ওই ঘটনার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে এ মামলা করা হয়েছে।
এ মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা ও বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খান আলতাফ হোসেন ভুলু, বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ফরাজীসহ ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বাউফলে ৪২ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে রাজনীতি করছি। জনগণের ভালোবাসায় আমি ৭ বার সংসদ সদস্য হয়েছি। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ হয়েছি। আমার স্বচ্ছ রাজনীতি দেখে দল আমাকে মূল্যায়ন করছে। এটি পরশ্রীকাতরতা ছাড়া আর কিছুই নয়।’
তাকে হেয়প্রতিপন্ন ও মানহানি করতে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মামলা করেছেন বলে দাবি করেন আ স ম ফিরোজ।
Leave a Reply