শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছে তিনি (ডা. সাবরিনা আরিফ) সেগুলোর সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দেয়া জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর আগে দুপুরে তাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ডিসি হারুন বলেন, ‘আমরা আজকে যখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলাম, আপনি জেকেজি’র চেয়ারম্যান কি-না? উনি বললেন, না আমি কখনোই চেয়ারম্যান না। আমি বললাম, আমরা যেদিন দুজনকে গ্রেপ্তার করলাম, এর আগেরদিন আপনাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। এছাড়া তিতুমীর কলেজে একটা ঘটনা ঘটার পর আপনি জেকেজি’র পক্ষে কথা বললেন চেয়ারম্যান হিসেবে। তিনি বললেন, আমার হাজবেন্ড এটা বলতে বলছে। তারপর ওনাকে আরো প্রশ্ন করা হলো, উনি সদোত্তর দিতে পারেন নাই। যার কারণে ওনাকে আমরা গ্রেপ্তার দেখিয়েছি।
ডিসি হারুন আরো বলেন, মামলার তদন্তের জন্য তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। সোমবার তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক। তবে তিনি গণমাধ্যমে নিজেকে জেকেজির ‘চেয়ারম্যান নয়’ বরং প্রতিষ্ঠানটির ‘কোভিড-১৯ বিষয়ক পরামর্শক’ দাবি করেছেন। তবে পুলিশের তদন্ত বলছে, সাবরিনাই জেকেজির চেয়ারম্যান।
সম্প্রতি ভুয়া করোনা রিপোর্ট তৈরির জন্য আরিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে, জেকেজি হেলথকেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টেস্টের রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনার আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানটির ল্যাপটপে তৈরি করা হয়। জব্দ করা ল্যাপটপে এর প্রমাণ মিলেছে। আরিফ চৌধুরী জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানান, জেকেজির ৭-৮ কর্মী ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করেন।
Leave a Reply