সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ওসির হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রী রাবেয়া আকতার (১৩) এর বাল্য বিয়ে। সোমবার সকাল থেকে চলছিল তার বিয়ের নানা আয়োজন।কনে পক্ষ বর পক্ষের আসার অপেক্ষায় যখন পথপানে চেয়ে ছিল ঠিক সেই সময় সব আয়োজন পন্ড করে দিল পুলিশ। বর পক্ষ উপস্থিত হওয়ার আগেই ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ হাবিবুর রহমান বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বন্ধ করে দিলেন বাল্য বিয়ে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কনের বাবা আঃ ছত্তার হাওলাদার দৌড়ে পালিয়ে যান।
ছেলে পক্ষও পুলিশের আসার কথা শুনে আত্মগোপন করে। কনে কালাইয়া গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মোঃ আঃ ছত্তার হালাদারের কন্যা এবং কালাইয়া রাজিয়া রশিদ দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। একই গ্রামের আঃ রশিদ মোল্লার ছেলে মোঃ জাহিদুল ইসলাম মোল্লা (১৮) এর সাথে মাদ্রাসা ছাত্রীর বাল্য বিয়ের আয়োজন চলছিল। জন্ম নিবন্ধন সনদ জাল করে ওই ছাত্রীর পরিবার বাল্য বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল। পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মাদ আল-মোজাহিদ সরেজমিনে গিয়ে বাল্য বিবাহ দেয়ার অপরাধে কণে পক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
কনে রাবেয়া আকতার জানান, বাবা মা আমাকে জোর করে বিয়ে দিচ্ছিল। আমি এ বিয়েতে রাজি ছিলাম না।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, খবর শুনে ৭ম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কনে এবং বর পক্ষকে সাবধান করে দেয়া হয়েছে পরবর্তীতে বাল্য বিয়ের দেয়ার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply