সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে থানার অবহেলায় ৩ মাসেও ভ্যান চুরির সমাধান হয়নি। ভূক্তভোগী মোতালেব এর স্ত্রী বিলকিছ বেগম জানান, উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আমার নিজ বাড়ির উঠান থেকে ৭ই জানুয়ারী মটোর চালিত একটি ভ্যান গাড়ি রাতের আঁধারে সিকল কেটে চুরি করে নিয়ে যায়।
সেখানে সিকল কাঁটার যন্ত্র একটি সেলাই রেন্স, সিকল কাঁটার (কাইট), হারাসি দেখতে পাই। স্থানীয় লোকজন জিয়া তালুকদার, নাসির হাওলাদার সহ তাদের দেখালে সিকল কাটা যন্ত্রপাতি সাহজাহান খলিফার করাতকলের বলে প্রমানিত হয়।
চুরি যাওয়া ভ্যানটি উদ্ধারে স্থানীয় লোকজন কোন সহযোগীতা না করলে থানা থেকে আইনগত সহায়তার জন্য অভিযোগ দিলে থানার এএসআই হেলালকে তদনেÍ দেন কিন্তু স্থানীয় চৌকিদার এর যোগসাযোগে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এএসআই হেলাল কোন সমাধান দেননি।
পরবর্তীতে থানায় আবারো লিখিত অভিযোগ দিলে থানা থেকে অভিযোগটি আবারো ডায়েরিভূক্ত না করে এসআই মনমতকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্ততে চুরির আলামত হিসেবে ফেলে যাওয়া সিকল কাটা যন্ত্রপাতি উদ্ধার করেন এবং ওই মিলের কর্মচারীদের সম্পৃক্ততার প্রমানিত হয়।
ওই মিলের মালিকের ভাগিনা মনির খান আপোশ মিমাংশা করার জন্য অভিযোগকারীর কাছে প্রস্তাব দেয় কিন্তু কোন সমাধান হয়নি এভাবেই ৩মাসেও হতদরিদ্র কোন সমাধান পাননি। তার পরিবারে আয় বন্ধ থাকায় পরিবারটি মানবেতর জীবন যাপন করতেছে।
এ ব্যাপারে মিল মালিক শাহজাহান খান বলেন, আমার বাড়ীতে ২বার থানা পুলিশ আসছে আমার অনেক টাকা খরচ হইছে আমি কিভাবে এখন সমাধান দেব। তারা মামলা করুক আমি মামলায় বুঝব। মিমাংশা প্রস্তাবকারী মনির খান বলেন, শাহজাহান খান আমার মামা ও ভূক্তভোগীও আমার আত্মীয়।
মামায় আমাকে সমাধানের কথা বলললে আমি ১৫হাজার টাকার প্রস্তাব দেই সে রাজি হয়েও আবার ২দিন পরে বলে আমি রাজি না।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, অভিযোগকারী মহিলা থানায় আসার পরে আমি আমার কর্মকর্তা তদন্তে পাঠাই তখন স্থানীয় ভাবে মিমাংশার কথা বলার কারণে অভিযোগটি ডায়েরীভূক্ত করা হয়নি। সে এখন আসলে আমি মামলা নেব।
Leave a Reply