পিরোজপুরে চার মাস ধরে বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা, রাতে বখাটের হানা Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ১২:২১ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




পিরোজপুরে চার মাস ধরে বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা, রাতে বখাটের হানা

পিরোজপুরে চার মাস ধরে বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা, রাতে বখাটের হানা

পিরোজপুরে চার মাস ধরে বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা, রাতে বখাটের হানা




পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ চার মাস ধরে একটি বিদ্যালয় ভবনে এক শিশু সন্তানকে নিয়ে থাকছেন ২৬ বছর বয়সী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা। গত মার্চ মাস থেকে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার মধ্য চরণী পত্তাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের চতুর্থ তলায় চার বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে থাকছেন রুমি আক্তার নামের ওই সহকারী শিক্ষিকা।

 

 

তবে ওই বিদ্যালয়ে চারপাশে নেই কোনো নিরাপত্তা দেয়াল। ফলে প্রতিদিনই বখাটেদের আড্ডা হয় আশ্রয়কেন্দ্র সংযুক্ত ওই বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায়।

 

 

সর্বশেষ বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নকল চাবি দিয়ে বিদ্যালয় ভবনের মূল গেটের তালা খুলে স্থানীয় পাঁচ বখাটে প্রবেশ করে। পরবর্তীকালে ওই শিক্ষিকার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে বখাটেরা তাদের পায়ে থাকা কয়েকটি জুতা ফেলে পালিয়ে যায়। বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ।

 

 

ওই শিক্ষিকা জানান, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বাড়ি বিদ্যালয় থেকে কয়েকশ’ গজ দূরে অবস্থিত। রফিকুলের ছেলে মেহেদি কৌশলে সাবানের ওপর মেইন গেটের তালার চাবির ছাপ দিয়ে একটি নকল চাবি তৈরি করে। এরপর তার সঙ্গে আরও কয়েক যুবক মিলে বুধবার রাতে বিদ্যালয় ভবনের মূল গেট খুলে ওই শিক্ষিকার কক্ষে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি।

 

 

ওই শিক্ষিকা আরও জানান, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে তিনি বিদ্যালয়ে অবস্থান করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন। তবে স্থানীয়রা জানান, ওই শিক্ষিকার বাড়ি বিদ্যালয় থেকে আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার দূরে থাকলেও তিনি বিদ্যালয় ভবনে আবাসিকভাবে অবস্থান করছিলেন।

 

 

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোতালেব কাজী জানান, শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ওই শিক্ষিকাকে বিদ্যালয়ে থাকতে দেয়া হয়েছে।

 

 

বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ওই শিক্ষক আইটি বিষয়ে দক্ষ থাকায় শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পাঠদানের জন্য তাকে বিদ্যালয়ে থাকতে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে বলেও জানান জাহাঙ্গীর।

 

 

তবে স্থানীয়রা জানান, মোবাইলের নেটওয়ার্ক দুর্বল থাকায় ওই এলাকায় অনলাইনে পাঠদান তো দূরের কথা মোবাইল ফোনেই স্বাভাবিকভাবে কথাও বলা যায় না। একজন শিক্ষিকার বিদ্যালয় ভবনে আবাসিকভাবে বসবাস করার বিষয়টি জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

 

ওই শিক্ষিকার বিদ্যালয়ে আবাসিকভাবে বসবাসের বিষয়টি জানা ছিল না বলে জানান ইন্দুরকানী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম। রোববার বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD