শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ আজ পিনাক-৬ ট্র্যাজেডির ছয় বছর পূর্তি হলো। ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট আড়াইশ’ যাত্রী নিয়ে পদ্মার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ডুবে যায় এমভি পিনাক-৬। এ ঘটনার অর্ধযুগ পার হলেও আজ পর্যন্ত মেলেনি ২১ জনের পরিচয়।
এদিকে ৬ বছরেও দুর্ঘটনার বিচার কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে স্বজনহারা মানুষের। নিখোঁজ ৬৪ যাত্রীর সন্ধান না পাওয়ায় হতাশ তাদের পরিবার।
২০১৪ সালের ৪ আগস্ট। ঈদ আনন্দ শেষে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মস্থলে ফিরছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।
সেদিন সকাল থেকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিলো। পদ্মা ছিলো উত্তাল। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছিলো পিনাক-৬। তবে আর পাড়ি দেয়া হয়নি। নদীর মাঝে আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় লঞ্চটি। এতে সলিল সমাধি হতে হয় শতাধিক যাত্রীর।
এই দুর্ঘটনায় ৪৯ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে ও নিখোঁজ হন ৬৪ যাত্রী। পরে নিখোঁজদের মধ্যে ৩৯ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে শিবচরের পাচ্চর স্কুলের মাঠে রাখা হয়। স্বজনরা পোশাকসহ নানা চিহ্ন দেখে ১৮ জনের পরিচয় নিশ্চিত করে মরদেহ নিয়ে গেলেও ২১ জনের কোনো স্বজন পাওয়া যায়নি। পরে ওই ২১ জনের মরদেহ শিবচর পৌর কবরাস্থানে দাফন করা হয়। আসল পরিচয় শনাক্ত হয়নি তাদের।
এদিকে লঞ্চডুবির ঘটনার ছয় বছর পেড়িয়ে গেলেও দায়ের করা দুটি মামলায় তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, তৎকালীন প্রশাসন পরিচয়হীন ২১ লাশের দেহ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে তা সংরক্ষণ করেন। ওই সময়ে নিখোঁজদের অনেক স্বজনের দেহ থেকে নমুনা নিয়ে তা পরীক্ষা করা হলেও মেলেনি। এতে অজ্ঞাত পরিচয়ে থেকে গেছে ২১ জনের মরদেহ।
তবে ঘটনাটি অনেক বছর আগের হলেও বিষয়টি সম্পর্কে বর্তমান প্রশাসনও অবগত। শুরুর দিকে অনেক স্বজন ডিএনএ নমুনা দিলেও এখন আর কেউ খোঁজও নেন না বলে জানান ইউএনও।
Leave a Reply