শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শেষ হলো নির্বাচন। এখন চলছে গণনা। তবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও নির্বাচনের দিন পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে বোমা হামলা ও গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ জনে। নিহতদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
পাকিস্তানের অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে যারা সময় শেষ হওয়ার আগেই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তারা এখনও ভোট দিতে পারবেন। আর কিছু কিছু কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশন দুই ঘণ্টার জন্য ভোট গ্রহণের সময় বাড়িয়েছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সহিংসতা এড়াতে মোবাইল পরিষেবা সাময়িক বন্ধ রাখার পাশপাশি আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কিছু স্থল সীমান্ত বন্ধ রেখেছে পাকিস্তান।
এর আগে, বুধবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানে নির্বাচনী প্রার্থীদের অফিসের কাছে দুটি বিস্ফোরণে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ঘটনার পর তারা পরিষেবা বন্ধ রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে। ইসলামিক স্টেট ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবাদের ঘটনার ফলে মূল্যবান জীবন হারিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ও সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিহার্য।
সারা দেশে রাস্তায় ও ভোট কেন্দ্রে হাজার হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। ইরান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান রউফ কায়সরানি জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিমে ডেরা ইসমাইল খান জেলার কুলাচি এলাকায় একটি পুলিশ টহলকে লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণে চার পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
উত্তরে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে ট্যাঙ্কে নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়িতে বন্দুকধারীরা গুলি চালালে একজন নিহত হয়।
বেলুচিস্তানের বিভিন্ন অংশে গ্রেনেড হামলারও খবর পাওয়া গেছে, কিন্তু কোনো হতাহতের ঘটনা না হওয়ায় ভোটগ্রহণ প্রভাবিত হয়নি। মাকরান বিভাগের কমিশনার সাইদ আহমেদ উমরানি রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
Leave a Reply