সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০১ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ যশোরের বাঘারপাড়ায় চিত্রা নদী থেকে খাইরুল ইসলাম নামে এক হোমিও ডাক্তারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
খাইরুল ইসলাম যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা ইউপির বীরনারায়ণপুর গ্রামের আহম্মদ আলী মেম্বারের ছেলে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার খাজুরা বাজার সংলগ্ন ব্রিজের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, এক পথচারী সন্ধ্যা ৬টার দিকে নদীর পাড়ে মরদেহটি ভাসতে দেখেন। এ সময় তিনি বিষয়টি বাজারের ব্রিজঘাট সংলগ্ন ব্যবসায়ীদের জানালে তারা পুলিশকে খবর দেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পুলিশ গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহটি উদ্ধার করে।
খাইরুল ইসলামের ছেলে রায়হান হোসেন জানান, তার বাবা পেশায় একজন গ্রাম্য হোমিও ডাক্তার। কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তার বাবা বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
বাঘারপাড়ার খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের এসআই জুম্মান খান জানান, মরদেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
পুলিশের অধিকতর অপরাধ (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিটের সিলেটের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে ফাতেমার মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল রির্পোট তৈরি সহ বেশ কিছু আলামত জব্দ করেন। ক্রাইম সিন দলের পাশাপাশি থানা পুলিশও পৃথক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে তার মরদেহ উদ্ধার করে সিলেট ওমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
কানাইঘাট থানার ওসি শামসুদ্দোহা জানান, একটি পাকা ঘরের মেঝেতে ফাতেমা বেগমের মরদেহ পাওয়া যায় এবং মেঝেতে জমাট বাধা রক্তের দাগ ও ঘরের বিছানাসহ আসবাবপত্র এলোমেলোভাবে পাওয়া যায়। ফাতেমার ডান চোখের নিচে এবং বাম চোখের পাশে এবং গলায় নখের আচঁড়সহ আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মুখ ও কান দিয়ে রক্ত বের হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে ফাতেমা বেগমকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
Leave a Reply