সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি শহরের বাসন্ডা নদীর ওপর নির্মিত বেইলী ব্রিজটি দীর্ঘদিন যাবত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ব্রিজটিকে সচল রাখতে মাঝে মাঝে অসংখ্য জোড়া তালি দেয়া হলেও সম্পূর্ণ সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ব্রিজে যান চলাচলের উপযোগী করতে মাঝে মধ্যে ওর্য়াকশপ থেকে ঝালাইয়ের মেশিন ভাড়া করে এনে কাজ করানো হয়। শনিবার রাতে ব্রিজটির একটি পাত ডেবে যাওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ভারী যানবাহন।
স্থানীয়রা জানান, বাসন্ডা নদীর ওপর নির্মিত এ বেইলী ব্রিজটির চালা নড়বড়ে হয়ে গেছে। এ ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন দক্ষিণাঞ্চলের যানবাহন চলাচল করে। রাতে ট্রাকসহ ভারী যান চলাচল করলে ঠাস ঠাস শব্দ হয়। এতে এলাকাবাসীসহ শিশুরা লাফিয়ে ওঠে।
মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে এলাকাবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাপনে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলাচলে প্রায় অযোগ্য এ ব্রিজটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২০ বছর ধরে জোড়া তালি দিয়ে সচল রাখার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে ব্রিজের নিচের অ্যাঙ্গেল একটি চক্র খুলে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে এ ব্রিজটি। সাতক্ষীরা ও যশোরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মালবাহী ভারী যান ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যে কোনো মুহূর্তে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে জানমালের মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগের অন্য কোনো মাধ্যম না থাকায় একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম এ সড়কের ব্রিজের ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। এক শ্রেণির চালকরা কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া গতিতে যান চালাচ্ছে। ব্রিজের ওপর কোনো ট্রাক-বাস উঠলে দুলতে থাকে। ব্রিজের মাঝখানে কোনো সড়ক বাতি না থাকায় রাতের আধারে পথচারীরা চলাচলের সময় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
ব্রিজটি নির্মাণের সময় নদীর মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পিলার নির্মাণ করা হলেও পাকা ঢালাই না করে স্টিলের পাত স্থাপন করায় নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যেই ব্রিজটি ক্ষতির শিকার হয়। বর্তমানে স্টিলের পাতগুলো নষ্ট হয়ে ভেঙে ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানের পাটাতনের ক্ষত স্থানে নতুন পাত ঝালাই দিয়ে আটকিয়ে দেয়া হচ্ছে। এলাকাবাসী যথা শীঘ্রই ক্ষতিগ্রস্ত এ বেইলি ব্রিজ অপসারণ করে ঢালাই ব্রিজ নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছেন।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ মো. নাবিল হোসেন জানান, আমাদের দৃষ্টিতে ব্রিজটি এখনো ততটা ঝুঁকিপূর্ণ না। যখন ঝুঁকিপূর্ণ হবে তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। যানচলাচল স্বাভাবিক করতে ওই দেবে যাওয়া পাটাতনটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
Leave a Reply