নগরীর হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পুরনো প্রশ্নে পরীক্ষা, কেন্দ্র সুপার বহিষ্কার Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:০২ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




নগরীর হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পুরনো প্রশ্নে পরীক্ষা, কেন্দ্র সুপার বহিষ্কার

নগরীর হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পুরনো প্রশ্নে পরীক্ষা, কেন্দ্র সুপার বহিষ্কার




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥  বরিশাল নগরীর হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ায় কেন্দ্র সুপারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ৪ জন শিক্ষককে।মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসন এ পদক্ষেপ নিয়েছে। এছাড়া ওই ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা বোর্ড পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তাদেরকে যথাক্রমে ৫ ও ৩ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নাজমা বেগম। তিনি কেন্দ্র সুপারের দায়িত্বে ছিলেন।পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন- ওই বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মাসুদা বেগম ও মো. সাইদুজ্জামান এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শাহানাজ পারভীন শিমু ও শেখ জেবুন্নেছা। এদের মধ্যে শেখ জেবুন্নেছা ও মাসুদা বেগম এমপিওভুক্ত এবং শাহনাজা পারভীন শিমু ও মো. সাইদুজ্জামান খন্ডকালীন শিক্ষক বলে স্কুল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রশান্ত কুমার দাসকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন এবং সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জোবায়দা নাসরিন। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক অধ্যাপক আব্বাস উদ্দিনকে প্রধান এবং বোর্ডের উপ-সচিব আব্দুর রহমান ও সেকশন কর্মকর্তা শহীদুল ইসলামকে সদস্য করে পৃথক আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, এসএসসি পরীক্ষা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরীক্ষা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট হল সুপার এবং ওই কক্ষের ৪ পরিদর্শক দায়িত্বে অবহেলা, গাফেলতি এবং খামখেয়ালী করায় তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, সোমবার এসএসসির প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষায় ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুযায়ী কেজুয়াল পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রে এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে বিষয়টি ধরা পড়ে। ওই দুটি কক্ষে নগরীর জগদীশ সরস্বতী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং অক্সফোর্ড মিশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ জন পরীক্ষার্থী ছিলো। শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ইউনুস ভুলের বিষয়টি স্বীকার করে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD