সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন
এইচ এম হেলাল॥ বরিশাল নগরীতে বিদ্যালয়ের পাশে থাকা টিনশেড বিল্ডিং বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বরিশাল বিভাগীয় এক শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষিকার দাবী ডেঙ্গু মশা ও বিষধর সাপ,থাকার করানে পরিত্যক্ত টিনশেড বিল্ডিং টি বিক্রি করা হয়েছে তবে টিনশেড বিল্ডিং নয় একটি গোলের ঘর ছিলো বলেছেন প্রধান শিক্ষিকা। অপরদিকে টিনশেড বিল্ডিং দরপত্রের কোন কাগজ নেই তার কাছে এমনই বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। কত টাকায় বিক্রি করা হয়েছে তা বলতে রাজি হননি প্রধান শিক্ষিকা মাফুজা। বরিশাল নগরীর সিস্টার ডে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাফুজা ২০১৭ সালে সেক্টেম্বর মাসে তিনি ওই বিদ্যালয় যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি র্দুনীতির আতুর ঘর তৈরি করেন বিদ্যালয়টিতে ।
সুত্র বলছে, একই বিদ্যালয়ে থাকা সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তার মাসের পর মাস মেডিকেল ছুটি দেখিয়ে যাচ্ছেন। ফলে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্র-ছাত্রীদের একাধীক অভিবাক। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে প্রধান শিক্ষিকা মাফুজার কাছে জানতে চাইলে তিনি দায় এড়াতে বর্তমান বরিশাল জেলা প্রশাসকের নাম বলেন এবং জেলা প্রশাসক নিজে টিনশেড বিল্ডিং ভাঙ্গতে বলছেন, অথচ বরিশাল জেলা প্রশাসক বললেন ভিন্ন কথা, বরিশাল জেলা প্রশাসক অজিয়র রহমান বলেন, বিদ্যালয় বিষয়টি আগে ম্যনেজিং কমিটি দেখবে। সুত্র বলছে ,সরকারী জিনিস পত্র বিক্রি করার আগে যে কোন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে জানান দিতে হয়। লটারি কিংবা ডাকের মাধ্যমে যে কোন ঠিকাদার ওই কাজটি নিবেন। যা শিক্ষা মন্ত্রনালয় অধিনস্থ থাকতে হবে। প্রধান শিক্ষিকা মাফুজা সরকারী টিনশেড বিল্ডিং বিক্রি করে টাকা আত্তসাধ করেছেন যা সম্পূর্ন বে আইনি ।
এ বিষয় বিভাগীয় উপ-পরিচালক এস এম ফারূক বললেন, সরকারী টিনশেড বিল্ডিং বিক্রি করা হয়েছে এটা আমার জানা নেই তবে কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
প্রধান শিক্ষিকা মাফুজার বিষয়টি নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল লতিফ মজুমদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিক্রি করার বিষয় আমি জানি না।বিষয়টা রিমোভ হইছে, বিক্রি করার বিষয়টা আমার জানা নাই এবং অবশ্যই তদন্ত করবো।
প্রিয় পাঠক,মাল্টিমিডিয়া মেশিন রাখার বস্ক,বঙ্গবন্ধু কর্নার কক্ষে বুক সেলফসহ নানা ধরনের র্দুনীতি নিয়ে থাকছে বিশেষ প্রতিবেদন……
Leave a Reply