শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
শামীম আহমেদ ॥ বরিশাল নগরীর (২৯) নংওয়ার্ডে বায়না চুক্তির মাধ্যমে ক্রয় করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাকি টাকা পরিশোধ না করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী,ওয়ার্ড কাউন্সিলর সহ স্থানীয় কতিপয় ভূমি দস্যু প্রত্যরনার মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তির জমির স্থাপনার ভাড়াটিয়াদের হটিয়ে অবৈধভাবে দখল নেয়ার পায়তার করার পাশাপাশি জমির মালিক ও তার পরিবারকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়া সহ জীবন নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বায়না চুক্তির প্রত্যারক চক্র।
আজ রোববার (২০) ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টায় বরিশাল প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে ধরেন প্রকৃত জমির মালিক মোঃ আবুল কালাম।
এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যতে বলেন,বরিশাল নগরীর (২৯) নং ওয়ার্ডের কাশিপুরের আমার ২ কোটি টাকা মূল্যের রেকর্ডিয় ২৯ শতাংশ জমি স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেত্রী শাহ পড়ান সড়কের বাসিন্দা মোসাঃ রোজি বেগমের ব্রোকারীর মাধ্যমে জনৈক ঝালকাঠী জেলার রাজাপুর উপজেলার, উত্তর আড়–য়া গ্রামের মোঃ সাইদুর রহমানের ব্যবসায়ী ছেলে মোঃ জসিম উদ্দিনের সাথে ৫লক্ষ টাকা বায়না চুক্তি মূল্যে ১ কোটি ৮৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা মূল্যে নির্ধারন করে ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২০ইং, চুক্তিপত্রে আবদ্ধ হয়। এবং ১৫ই নভেম্বরের মধ্যে বাকি অবশিষ্ট ১কোটি ৮০ লক্ষ,৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করে দলিল মারফত জমি দখল বুঝে নেবে।
এমনকি টাকা পরিশোধের আগে উক্ত জমির কোন স্থপনায় হস্তক্ষেপ করিতে পারিবে না। চুক্তি ভঙ্গ করিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও চুক্তি নামায় উল্লেখ করা হয়।
এসময় ব্রোকার আওয়ামী লীগ নেত্রী রোজি নগদ ৩৪ হাজার টাকা গ্রহন করার পাশাপাশি এবং পঞ্চাশ টাকার দুটি স্টাম্পে স্বক্ষর করিয়ে রাখে জমির টাকা হাতে আসলে রোজিকে আরো ৩লক্ষ টাকা দিতে হবে।
অপরদিকে বায়না চুক্তির মালিক জসিম নয় ৮দিন পর ২৩ই সেপ্টেম্বর নেপথ্যে মুখোস লুকিয়ে রাখা ভূমিদস্যু স্থানীয় মোঃ জসিম ফকির, সুরুজ সিকদার কালু, ও বহিস্কৃর্ত জেলা ছাত্রদল সভাপতি মাহফুজ আলম মিঠির ভগ্নিপতি আতিক সহ একদল বাহিনী উক্ত জমিতে থাকা ভাড়াটিয়াদের বলে আমরা জমি ক্রয় করেছি তোমরা ৩০ই অক্টোবরের মধ্যে বাসা ছেড়ে চলে যাবার হুমকি দিয়ে যায়।
পরবর্তিতে এবিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন আপনি আমাদের কাছে জমি বিক্রি করেন নাই বলে আমরা জসিমকে সামনে রেখে জমির বায়না চুক্তি করেছি।
আপনি ভাড়াটিয়াদের নেমে যেতে বলেন এবং ঘড় ভেঙ্গে নেন। এসময় আবুল কালাম বলেন আপনাদের কাছে আমি জমি বিক্রি করি নাই জসিমকে আসতে বলেন প্রতি উত্তরে বলেন জসিম সময় মত আসবে।
এতে উক্ত ভূমিদস্যুরা ক্ষিপ্ত বলেন ভাল চান তাহলে ভাড়াটিয়াদের নেমে যেতে বলেন এতে ভাল হবে। এঘটনার পর বায়নার সত্বাধীকারী রোজির কাছে বায়নাকারী জসিমের মোবাইল নম্বর চাইলে তার কাছে নম্বর নাই বলে জসিমকে আড়াল করে রাখে।
অপরদিকে জমির মালিক আবুল কালামকে রোজি ভয় দেখিয়ে বলে ওরা এলাকার পোলাপান ওদের সাথে ঝামেলায় যাইয়েন না। গেলে সমস্যা হবে আপনি ঘড় ভেঙ্গে নিয়ে যান। ২মাসের মধ্যে টাকা পাইলেই তো চলে।
এদিকে বায়না চুক্তিতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে জমির সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধের আগে জমিতে কেহ হস্তক্ষেপ করিতে কিংবা দখল করিতে পারিবে না।
এঘটনার পর আবুল কালাম কোন উপায় না পেয়ে ২৫ই সেপ্টেম্বর স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লগি নেতা ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে ন্যায় প্রত্যাশা কামনা করা হলেও তিনি ভূমিদস্যুদের পক্ষ নিয়ে আমাকে ঘড় ভেঙ্গে নিয়ে যেতে বলে। এবং তিনি দায়ীত্ব নিয়ে বলে আমি সব টাকা ১০ই নভেম্বরের মধ্যে বুঝিয়ে দেব।
ফরিদ উদ্দিনের কথা বিশ^াষ করে আবুল কালাম তার ১৬টি ঘড় ভেঙ্গে নিয়ে যায় সেখানে ৬০ হাজার ইট থাকলেও তারা সেই ইট নিতে পর্যন্ত নিতে দেয়নি আবুল কালামকে।
পরবর্তীতে জমির মালিক জমির দলিল কবে নিবে জানতে চাইলে তারা বিভিন্নভাবে প্রত্যরনা শুরু করে এক প্রর্যায়ে জমির কাগজে ত্রুটি আছে বলে ১ বছরের সময় চেয়ে ১টি উকিল নোটিশ প্রেরন করে জমির মালিক আবুল কালামের কাছে।
আবুল কালাম ওদের উকিল নোটিস পেয়ে তার আইনজীবী আজাদ রহমানের মাধ্যমে ২৩ নভেম্বর তার জবাব দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয় উক্ত জমি রেকর্ডিয় সম্পত্তি এতে কোন সমস্য থাকলে রেজিস্টার রেজিস্টারী বায়না করতেন না।
সেই সাথে বায়না চুক্তি মালিক জসিমকে জানানো জমি ক্রয় ও বিক্রয় সময় সিমা চুক্তি ভঙ্গ করায় বায়নার টাকা ফেরত নিয়ে এবং আমার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গার কারনে ১৫ লক্ষ টাকার কাষতি সাধিত হওয়ার টাকা দাবী করা হয় নতুবা আদালতে আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা জানানো হয়।
নেটিশ প্রেরনের ৭ কার্য দিবসে কোন উত্তর না পেয়ে ৬ই ডিসেম্বর বরিশাল বিজ্ঞ ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ম,ামলা দায়ের করার পর সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট শাখায় বায়না চুক্তি কালে নেয়া ৫লক্ষ টাকা জমি দিয়ে ক্ষতি পুরনের ১৫ লক্ষ টাকা দাবী করে জসিমের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এতে ভূমি দস্যুরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই জমি বিক্রয় করার হবে বলে ফ্রেন্ডর্স হাউজিং নামের একটি জোর্ড়পূর্বক সাইন বোর্ড সাটিয়ে আমার জমির একঅংশে বালু ভরাটের চেষ্টা করে।
এঘটনা ৪ ডিসেম্বর এয়ারপোর্ট থানাকে অবহিত করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বালু ভরাট না করার নির্দেশ দেয়ার পরও তারা আইনকে বৃদ্ধঙ্গুুল দেখিয়ে অবৈধভাবে সাইনবোর্ড স্থাপন করে।
পরবর্তীতে কালাম ৮ই ডিসেম্বর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোঃ জসিম উদ্দিন,মোসাঃ রোজি বেগম,আতিক,সুরুজ সিকদার কালু, জসিম ফকির সহ আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে একটি মামলা দায়ের করায় আদালত বিবাদীর ১১ই জানুয়ারী স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন।
একই সাথে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশকে তফসিল ভূক্ত জমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আদেশ দেন। সেই সাথে সাইনবোর্ড উঠিয়ে নেয়া এবং জমিতে প্রবেশ না করারও আদেশ দেন।
এতে চতুর জাল-জালিয়াতী ভূমি দস্যুরা প্রত্যরানা করে আবুল কালামের জমি দখল করে খেতে পারবে না মনে প্রতি মূহুর্তে আবুল কালাম ও তার পরিবারকে মিথ্যা ডাকাতি সহ বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে জমি দখল নেয়া সহ এলাকা ছাড়ার হুমকি প্রদর্শন করায় আবুল কালাম ওদের ভয়ে ভয়ে আতংকিত হয়ে পড়েছে।
তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উক্ত ভোক্তভোগী আবুল কালামের পরিবার আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহ সকল গণমাধ্যম সদস্যদের কাছে সহযোগীতা কামনা করেন।
Leave a Reply