ধর্ষণ শেষে হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার Latest Update News of Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




ধর্ষণ শেষে হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

ধর্ষণ শেষে হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥  ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে ধর্ষণ শেষে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোয়াজ্জিন আশিক ওরফে কফেলকে (১৯) পুলিশ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার দুপুর আড়াইটায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আহসান হাবিব পৌর শহরের মহিলা কলেজ রোডের অধ্যক্ষ আখতার হোসেন কিন্ডার গার্টেন স্কুলের একটি কক্ষ তাকে গ্রেফতার করা হয়।

 

 

এর আগে একই ঘটনার সহযোগী আসামি মাদরাসা শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান ইছামুদ্দিনকেও (১৮) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ইছামুদ্দিন ময়মনসিংহ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জানা যায়, উপজেলার পুখুরিয়া দারুল আরাবিয়া কাছিমুল উলুম মাদরাসায় পড়ার সুবাদে স্থানীয় ধোপাঘাট গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে মাহফুজুর রহমান ওরফে ইছামুদ্দিন, নান্দাইল উপজেলার উত্তর তারাপাশা গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে আরিফ ও আয়নাল হকের ছেলে আশিক ওরফে কফেল এর বন্ধুত্ব হয়।

 

তিন বন্ধুর মধ্যে আশিক ওরফে কফেল যশরা ইউনিয়নের পাড়াভরট জামে মসজিদে মুয়াজ্জিনের চাকরি করে। প্রায় এক বছর আগে পার্শ্ববর্তী আঠারোদানা গ্রামের দরিদ্র আব্দুল মতিনের এসএসসি পাস মেয়ে তাকমিনার সাথে আশিক ওরফে কফেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে কফেল বহুবার মেয়েটির সঙ্গে মিলিত হয়। গত সোমবার রাত সোয়া ২টার দিকে বন্ধু মাহফুজুর রহমান ওরফে ইছামুদ্দিন ও আরিফ যোগসাজসে মোবাইলে মেসেজ দিয়ে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে ডেকে পারাভরট জামে মসজিদের পাশের জনৈক রমজান আলীর ভিটায় নিয়ে আসে।

 

পরে মাহফুজুর রহমান ওরফে ইছামুদ্দিন ও আরিফ পাহারা দেয় এবং কফেল মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দেয় এবং বলে ‘আমাকে বিয়ে না করলে বড় হুজুরকে বলে দেব’। এতে কফেল ক্ষিপ্ত হয়ে পাহারারত দুই বন্ধুকে ডেকে এনে তিনজন মিলে মেয়েটিকে মাটিতে ফেলে বুকে চেপে বসে ও মুখ চেপে হত্যার পর জামগাছে ঝুলিয়ে রাখে।

ঘটনার পর ফজরের সময় কফেল ওযু-গোসল ছাড়াই আজান দেয়। ভোরের দিকে লাশ ঝুলে থাকার খবর ছড়িয়ে পরলে লোকজন আসতে থাকে। এ সুযোগে কফেল পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পরে নিহতের বাবার দায়ের করা মামলা তদন্তকালে পুলিশ সহযোগী আসামি মাহফুজুর রহমান ওরফে ইছামুদ্দিনকে গ্রেপ্তার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করলে সে নিজের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গফরগাঁও সার্কেল) আলী হায়দার চৌধুরী পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ঘটনার সাত দিনের মাথায় আমরা প্রধান আসামি কফেলসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। অপর আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভিকটিমের পরিবার সুবিচার পাবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD