শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ অপরাহ্ন
দশমিনা প্রতিনিধি ॥
উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন তেঁতুলিয়া নদীর বুকচিরে জেগে উঠা চরহাদীতে পঞ্চাশ বছর আগে উপজেলার ভূমিহীন ও ছিন্নমূল মানুষের বসবাস। পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চলে ১৪০ নং উত্তর চরহাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পানিবন্ধী এছাড়া বিদ্যালয়টির ক্লাশও চলে তেঁতুলিয়া নদীর জোয়ারভাটা দেখে। জোয়ারের পানি বেশি থাকলে অপেক্ষা করতে হয় ভাটার শিক্ষার্থীদের সহ শিক্ষকদের। বর্তমানে ওই চরে বসবাস জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় হাজার। ২০১০ সালে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ছেলে সোহেল বাতেন তাঁর নিজ অর্থায়নে বিদ্যালয়বিহীন চরহাদী উত্তর চরহাদী বেঃ সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।
বর্তমানে তিনজন শিক্ষক অনেক প্রতিকূলতার মাঝে বিদ্যালয়ের প্রায় শতাশিক ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করছেন। বিদ্যালয়ের সাথে কোন সংযোগ সড়ক না থাকায় নৌকা অথবা কলার ভেলায় চরে আসতে হয় ছাত্র ছাত্রী সহ শিক্ষকদের। বর্তমান সরকার ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ বিদ্যালয়টি জাতীয় করণ হলেও অবকাঠামোর কোন উন্নয়ন হয়নি। জরাজীর্ন টিন সেটের ঘর আর তেতুলিয়া নদীর জোয়ারের পানিতে ক্লাশ করতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। উপজেলা সদরে আসতে ট্রালার যোগে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগে। এ কারনে চরের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
চরে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির ও অবস্থা করুন । বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃদূলা রানী জানান, শুরুর দিকে চার জন শিক্ষক থাকলেও দুর্গম হওয়ায় একজন শিক্ষক অন্যত্র চলে গেছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মু. জাহিদ হোসেন বলেন, বিদ্যালয়টির ভবন, মাঠ ভড়াট এবং যাতায়াতের সড়কের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
Leave a Reply