শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউপির চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজীর বাড়িতে স্বামীর অধিকার আদায়ের জন্য এক তরুণী আমরণ অনশন করছেন। তার স্বামীকে ফিরিয়ে না দিলে তিনি আত্মহত্যা করবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন।
তবে চেয়ারম্যান তার পরিবারের সবাই অন্যত্র আছেন এবং সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। ওই তরুণী বলেন, চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজীর ছোট ভাই জলিল ফরাজীর ছেলে রাকিব ফরাজীর সঙ্গে আমার এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। এ সময় আমাদের মাঝে সব ধরনের সম্পর্ক হয়েছে। বারবার বিয়ের জন্য বললেও রাকিব আমাকে শুধু আশ্বাসই দিয়েছে। এক মাস আগে আমি রাকিবকে বিয়ের জন্য প্রেশার দিলে রাকিব আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। পরে আমি রাকিবের বাড়িতে যাই।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ৩ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পরও আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাকে ছেলের বউয়ের স্বীকৃতি দেয় না। এছাড়াও রাকিবকে আমার কাছে আসতে দেয় না। এমনকি দুলাল ফরাজির মা আমাদের নিয়ে আমার মামা শ্বশুরের বাড়িতে রাখে। সেখান থেকে তালতলী বন্দর এলাকায় রাকিবের নানী দেলোয়ারা হামিদের বাসায় আমি ও রাকিব ১০ দিন থাকি।
তিনদিন আগে সেই বাড়ি থেকে রাকিব ভোরে পালিয়ে গিয়েছে। এখন কোথায় গিয়েছে আমি জানিনা। আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছে না। তাই আমি আমার স্বামীকে ফিরে পাওয়ার জন্য চেয়ারম্যানের বাড়িতে এসেছি। আমার বিয়ের সময় চেয়ারম্যান ছিলেন। তারা আমার স্বামীকে ফিরিয়ে না দিলে আমি আত্মহত্যা করবো।
ওই তরুণীর বাবা বলেন, ছেলে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক তারা দুজন দুজনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে। এখন শ্বশুরবাড়ির লোকজন যদি স্বীকৃতি না দেয় তাহলে আমার মেয়েকে কেন বিয়ে করেছিল? আমার মেয়ের জীবনটা কেন নষ্ট করেছে? বিয়ের পর থেকেই মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলে না। তারা প্রভাবশালী ও বড়লোক।
নিশানবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি এসব বিষয় এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ব্যস্ত আছি পরে কথা বলবো। পরে আর ফোন রিসিভ করে না।
রাকিবের নানী দেলোয়ারা হামিদ বলেন, আমার বাড়িতেই উভয় পক্ষ উপস্থিত থেকে ছেলে মেয়ের বিয়ে হয়েছে। তবে সরা হয়েছে কাবিন হয়নি। ছেলের বয়স হয়নি সাত মাস বাকি আছে এ কারণে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প তিন লাখ টাকা কাবিন হবে উল্লেখ করে উভয় পক্ষেরই স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে যাতে মেয়েটাকে পরবর্তীতে ঠকাতে না পারে।
তালতলী থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ঘটনাটি শুনেছি চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। তাছাড়া আমাদের নারী পুলিশকে ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply