রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ২০১৬ সালে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েও কোন বিল পরিশোধ না করায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ ইউএনও বরাবর চিঠি দিতে যাচ্ছেন বিদ্যুৎ বিভাগ। অথচ স্কুলের ফান্ড থেকে ২৩ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া বেগম বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহজাহান মৃধা জানান, কি কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে তা তার জানা নেই।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠী জেলার নলছিটি উপজেলার জুরকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়া হয়। যদিও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নে সময় বিদ্যুৎ কর্মীরা জানিয়েছেন অবৈধ সংযোগ থাকায় তা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অপরদিকে বাশার মেম্বর ও মহিলা মেম্বরের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সংযোগ নেয়ার কথা স্বীকার মেম্বর বাশার বলেন, সংযোগ সঠিক নিয়মেই এসেছিল তবে বিদ্যুৎ বিল না দেয়ায় এখন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
অপরদিকে অসমর্থিত একটি সূত্র জানায়, প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া বেগম বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার জন্য শিক্ষকদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা উঠিয়েছিলেন। কিন্তু ওই ৫ হাজার টাকা ছাড়াও বিদ্যুৎ বিল বাবদ স্কুল ফান্ড থেকে ১৮ হাজার টাকাসহ মোট ২৩ হাজার টাকা স্কুল ফাান্ড থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
সূত্রটি আরো জানায়, প্রতি বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা স্কুলে চেয়ার, ফ্যান উপহার হিসেবে দিয়ে যায়। অথচ প্রধান শিক্ষিকা তা খরচ হিসেবে দেখিয়ে স্কুল ফান্ডের টাকা উত্তোলন করেন।
এ ব্যাপারে নলছিটি পিডিবি’র আবাসিক প্রকৌশলী ফিরোজ সন্যামত জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ নিলেও কোন ধরণের অনুমোদন না নেয়ায় অবৈধ সংযোগ হিসেবে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী রবিবার এ বিষয়ে ইউএনও বরাবর লিখিতভাবে জানানো হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি কাজ করলেই সকল বিষয় বেরিয়ে আসবে।
এ ব্যাপারে স্কুল ম্যানোজিং কমিটির সভাপতি শাহজাহান মৃধা বলেন, ম্যানেজিং কমিটির কারো সাথে আলাপ আলোচনা ছাড়াই প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া একা একা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেন। এ বিষয়ে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তাই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলে তার দায়ভার প্রধান শিক্ষিকাই নেবেন।
এ ব্যাপারে জানতে জুরকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়ার মুঠোফোনে (নাম্বার ০১৭১৪ ….. ৮৯) যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই নাম্বারটি প্রধান শিক্ষিকার নয় বলে সংযোগ কেটে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply