বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৬ অপরাহ্ন
থানা প্রতিনিধি॥ চরমোনাই দরবার শরীফের শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের উদ্বােধনী বয়ানের মাধ্যমে মাহফিলের সূচনা করবেন। তাই এরই মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আসতে শুরু করেছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা।
বছরে দুটি মাহফিলের মধ্যে ফাল্গুন মাসের মাহফিলটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হিসাবে গণ্য করেন চরমোনাই পীর অনুসারীরা। কয়েক লাখ মুসুল্লী এ মাহফিলে অংশগ্রহন করেন বলে ধারনা তাদের। তাই নিরাপত্তার বিষয়টিতেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। মুসল্লীদের নিরাপত্তায় ময়দান জুড়ে পাঁচশ পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও স্থাপন করা হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প।
এছাড়া মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) চরমোনাই ময়দান পরিদর্শন করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান-বিপিএম (বার)। তিনি নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবরের পাশাপাশি মাহফিলের আয়োজক কমিটিকে দিয়েছেন বিভিন্ন দিক নির্দেশনা।
চরমোনাই মাদরাসার অধ্যক্ষ ও পীরের ভাই মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘মুসল্লীদের নিরাপত্তায় কয়েক স্তরের পুলিশি নিরাপত্তার পাশাপাশি আয়োজকদের পক্ষ থেকে থাকবে নিজস্ব সেচ্ছাসেবক ও ভলান্টিয়ার বাহিনী। পাশাপাশি মুসল্লীদের স্বাস্থ্য সেবায় মেডিকেল ক্যাম্প, খাবার দোকান, পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থা এবং যাতায়াত নিরাপদ করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
কোতয়ালী থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মাহফিলে আগত মুসল্লীদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় মেট্রোপলিটন পুলিশের পোশাকধারী আড়াই শ’ এবং সাদা পোশাকে আরও আড়াই শ’ পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। কমিশনার স্যার মাহফিল সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করবেন।
আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, মাহফিলে মুসুল্লীদের জন্য ৫টি মাঠ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ফজরের নামাজের পর পরই সবগুলো মাঠ মুসুল্লীতে পূরিপূর্ন হয়ে যায়। আগত মুসুল্লীরা আশপাশের বাড়িঘর এবং ফাঁকা জায়গায় মুসুল্লীরা অবস্থান নিয়েছেন। মাহফিলে সার্বিক সহযোগীতা নিয়ে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃগ্ধখলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আলোচনাও হয়েছে ইতিমধ্যে।
মাহফিলের মিডিয়া সেলের প্রধান মো. শরিয়ত উল্লাহ জানান, প্রতিদিন ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর চরমোনাই পীর মাহফিলে বয়না করবেন। তিনি মোট ৫টি বয়ান করবেন। আগামী শনিবার সকাল ৮টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল শেষ হবে।
এছাড়া মাহফিলের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ওলামা-মাশায়েখ মহাসমাবেশ এবং তৃতীয় দিন শুক্রবার সকাল ১০টায় ছাত্র আন্দোলনের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো মুলত চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহাসমাবেশে পরিনত হয়। সকলস্তরের নেতাকর্মী এবং পীর অনুসারীরা মাহফিলে অংশ নেওয়ায় দলটির রাজনৈতিক অনেক গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ফাল্গুন মাসের বার্ষিক মাহফিলে।
Leave a Reply