মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন
রিপোর্ট- রাজিব খান:চরকাউয়ায় ঔষধ ফার্মেসীতে ব্যাবস্থাপত্র ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে ঘুম ও ব্যাথা নাশক ঔষধ।যা এলাকার যুব সমাজ ব্যাবহার করছে নেশা হিসেবে। এলাকার যুবসমাজ নেশায় আসক্ত হয়ে ধ্বংশের পথে প্রায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস! স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ প্রসাশনের সু-দৃষ্টি এবং এই ধ্বংশের কবল থেকে যুবসমাজকে বাঁচানোর আহ্বান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কিছু সচেতন নাগরীকের।
তারা বলে, আমাদের সন্তানদের যেই বয়সে হাতে কলম, মুখে মাদকের বিরুদ্ধে শ্লোগান আর বুকে সুন্দর দেশ গড়ার প্রত্যয়। ঠিক সেই সময় এই অর্থলোভী, অসাধু ঔষধ ব্যবসায়ীরা আমাদের সন্তানদের হাতে তুলে দিচ্ছে এ ঔষধ নামক মাদক। বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া বাসষ্ট্যান্ডে, মিলন ফার্মেসীর মালিক চরকাউয়া আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সামনের, মানিক এর ছেলে মিলন, ফরাজী ফার্মেসীর মালিক আমির ফরাজী, জোমাদ্দার ফার্মেসীর মালিক ফারুক জোমাদ্দার, জিয়া ফার্মেসীর মালিক আমজাত আলীর ছেলে জিয়া হাওলাদার, এবং হায়দার হাওলাদারের ছেলে আরিফ হাওলাদার অবাদে চালিয়ে যাচ্ছে এ ঔষধ নামক মাদক ব্যবসা। জানাযায়, অপারেশন ও বিভিন্ন গুরুতর রোগীদের জন্য ব্যাবহৃত ব্যাথা নাশক এবং ঘুমের ঔষধ যেমন, প্যথেডিন, নালবন-২, সেডিল, ইফিউম, ইনজেকশন ও ডরমিকাম, ইনোকটিন, সেডিল ট্যাবলেট এবং অফকফ, তুসকা, ফেনাডিল সিরাপ সহ বিভিন্ন ঔষধ যা ডাক্তারী ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রি নিষেধ।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই অর্থের লোভে হরদমে বিক্রি করছে এ ঔষধ ব্যবসায়ীরা এবং এলাকার যুবসমাজ তা কিনে নেশা হিসেবে ব্যবহার করে যাচ্ছে অবাদে। যার বাস্তব নিদর্শন রয়েছে, চরকাউয়া টি আহম্মদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিন পাশে একটি বাগানে।
যেখানে বসে মাদক সেবীরা এসব মাদক গ্রহন করে। তারা আরো জানাযায়, এই ফার্মেসী ব্যাবসায়ীদের কবলে পরে মাদকাসক্ত হয়ে নিজের ভারসম্য হারিয়ে ফেলে, বাতেন(২৫) নামের এক যুবক। বাতেন ২নং ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্টুর ছেলে। বাতেন চিকিৎসার জন্য ২মাস যাবৎ ঢাকা উত্তরা মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। স্থানীয় পুলিশ প্রসাশন ও সচেতন জনপ্রতিনিধিদের চোখে বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে নিরবে চালিয়ে যাচ্ছে এ ঔষধ নামক মাদক ব্যবসা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, এই ঔষধ ফার্মেসীর আড়ালেই চলছে এ ঔষধ নামক মাদকের রমরমা ব্যাবসা। প্রতিদিন সাধারন মানুষের মতই এলাকার যুবসমাজ বিভিন্ন ভাবে ভিড় জমাতে থাকে এ ঔষধ ফার্মেসীগুলোতে এবং লোকচক্ষুর আড়ালেই ব্যবস্থাপত্র ছাড়া চলতে থাকে ঔষধ নামক মাদক কেনা বেচা। গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ বেচা-কেনা। কি আর বলবো বাবা? অগো কারনে আমার পোলাডাও নেশাগ্রস্থ হইয়া গেছে, কিছু বললে আমাগো উপরে হাত তোলে, এভাবে অস্রুপূর্ণ চোকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক মাদক সেবীর বাবা অনুসন্ধানী টিমকে বিনয়ের সাথে জানায়। তিনি আরো বলেন, বাবারে বর্তমানে পুলিশের ধারে কিছু কইনা কারণ, তাইলে আমরা গরীব মানুষ আমাগো উপরে চাপ পরবে। হেনস্তা হইতে হবে তাদের কাছে, আর সমাজে তো যারা এই মাদকের লগে জড়িতো তাগো গায়ের জোড় বেশি। তাই পত্রিকার মাধ্যমে পুলিশের বড় কর্মকর্তাদের কাছে জানাই এই অসাধু অর্থলোভী ফার্মেসী ব্যবসায়ীদের হাত থেকে এলাকার যুবসমাজকে যেন রক্ষা করে। আর কোন মা বাবার সন্তান যেন নেশাগ্রস্ত না হয়।
এব্যপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ৭নং চরকাউয়া ইউনিয়ন’র ২নং ওয়ার্ড’র ইউপি সদস্য এনামুল হক সাগর জানান, এদের ঔষধ বিক্রির সঠিক কাগজ পত্র আছে কিনা, তাও আমার জানা নাই। আর যে যেই ঔষধ চায় তাই দিয়ে দেয়। তবে ব্যাথা নাশক ও ঘুমের ঔষধ ব্যাবস্থাপত্র(প্রেসক্রিপশন) ছাড়া বিক্রি করা নিষেধ থাকলেও তারা বিক্রি করতেছে, এটা এতোদিন আমার জানা ছিলো না । তবে আপনাদের মাধ্যমে পুলিশ প্রসাশন ও ড্রাগ এসোসিয়েশন এর দৃষ্টি অাকর্ষন করে এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার অনুরোধ জানাচ্ছি। যে বা যাহারা এই ঔষধ নামক মাদক বিক্রি করে এলাকার সম্মান ক্ষুন্য করতেছে এবং এলাকার যুব সমাজ ধ্বংশের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তাদের উপর কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply