মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবেলায় সিপিপির পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সর্তক করতে দিন-রাত চালাচ্ছে প্রচারণা। এদিকে মনপুরা থেকে বিচ্ছিন্ন কলাতলীরচর, ঢালচর ও চরশামসুদ্দিনের ২০ হাজার বাসিন্দা রয়েছেন চরম ঝুঁকির মধ্যে।
ওই সমস্ত বিচ্ছিন্ন চরে পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নেই। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চরের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও বিপুল চন্দ্র দাস।
এছাড়াও মূল-ভূখণ্ডের স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাইমারি ও মাধ্যমিক স্কুল ভবন, রেডক্রিসেন্ট ও কারিতাসের আশ্রয়কেন্দ্র, উপজেলার পরিষদের বিভিন্ন ভবনসহ ৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস।
এদিকে উপজেলার সিপিপির ৮২৫ স্বেচ্ছাসেবী কর্মী স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ও দুর্যোগ পরবর্তী সহযোগিতায় জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা সিপিপির টিম লিডার এরফান উল্লা চৌধুরী অনি।
সিপিপির পক্ষ থেকে উপজেলার সর্বত্র বাসিন্দাদের সর্তক অবস্থানে থাকতে মাইকিং করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস জানান, উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং করা হয়েছে। চরের বসবাসরত মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। উপজেলা কন্ট্রোল রুম খোলা সহ ৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও শুকনো খাবার মজুদ করা হয়েছে।
Leave a Reply