রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৯ অপরাহ্ন
মোঃ মাসুদ সরদার, গৌরনদী প্রতিনিধি: বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পূর্ব বেজহার গ্রামের সিরাজুল ইসলাম চোকদারের পুত্র রাজু চোকদার (১৯) হঠাৎ করে লিঙ্গ পরিবর্তন হয়ে মেয়ে হয়ে যাওয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।এখন তার নাম পরিবর্তন করে রাজিয়া আক্তার রাখা হয়েছে। এমনকি গত আট মাসপূর্বে রাজু (বর্তমানে রাজিয়া) তার ঘনিষ্ট বন্ধু আসিফের সাথে প্রেমের সম্পর্কে নোটারীর মাধ্যমে গোপনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।সূত্রমতে, বিয়ের বিষয়টি জানাজানির পর আসিফের বাবা এস্কেন্দার গোমস্তা ও তার পরিবারের সদস্যরা এ বিয়ে মেনে না নেওয়ায় ভাংঙ্গনের মুখে পরেছে রাজিয়ার সংসার। বিষয়টি দীর্ঘদিন গোপন থাকলেও সোমবার দিনভর বিষয়টি এলাকায় চাউর হওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ছেলে থেকে মেয়ে হওয়া রাজিয়া আক্তার জানান, গত দুইবছর পূর্বে তার শারিরিক অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে। একপর্যায়ে সে (রাজু) ছেলে থেকে মেয়ে হওয়ার পর তার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় রাজিয়া।
সে আরও জানায়, বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে গোপন রাখা হয়। সে ছেলে থাকার সময় তার ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলো ভীমেরপাড় গ্রামের বাসিন্দা আসিফ গোমস্তা (২০)। মেয়ে হওয়ার বিষয়টি ঘনিষ্ঠ বন্ধু আসিফকে জানানোর পর তার (আসিফ) সাথে রাজিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে পরিবারের অজান্তে গত আট মাস পূর্বে প্রথমে নোটারী পাবলিক ও পরে স্থানীয় বিয়ের কাজীর মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকার দেনমোহরে আসিফকে সে (রাজিয়া) বিয়ে করে। সম্প্রতি সময়ে বিয়ের বিষয়টি উভয় পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে আসিফের পরিবার সামাজিকভাবে রাজিয়াকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
এনিয়ে গত কয়েকমাস ধরে আসিফ ও রাজিয়ার পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ শুরু হয়। পরিবারের চাঁপের মুখে গত সপ্তাহে স্ত্রী রাজিয়ার বিরুদ্ধে বরিশাল আদালতে একটি প্রতারনার মামলা দায়ের করেন স্বামী আসিফ গোমস্তা। আদালতের বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ প্রদান করেন।মাহিলাড়া ইউনিয়নের সচিব মাহাতাব হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশে রাজিয়ার বিরুদ্ধে স্বামী আসিফের দায়ের করা মামলার তদন্তের স্বার্থে মঙ্গলবার দুপুরে মাহিলাড়া গ্রাম আদালতে উভয়পক্ষের লোকজনকে উপস্থিতি হতে বলা হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ আর সংসার করবে না বলে গ্রাম আদালতকে জানালে শালিশ বোর্ডের মাধ্যমে উভয়পক্ষের সম্মতিতে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শালিশ বোর্ড।সচিব আরও জানান, গ্রাম আদালতে উভয়পক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হবে। আদালতের বিচারক পরবর্তী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
Leave a Reply