রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪১ অপরাহ্ন
গৌরনদী প্রতিনিধি॥ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার গোবর্দ্ধন গ্রামের আকাশ (১৬) নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গছে। গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ শুক্রবার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই গ্রামের মালেশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী তাসলিমা বেগম ও তার কিশোরী কন্যা সীমাকে আটক করেছে পুলিশ।
গৌরনদী উপজেলার গোবর্ন্ধন গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শামছুল হক খানের বাড়িতে একটি পাকা ভবনে যশোর সদর উপজেলার মালেশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী একমাত্র কন্যা, গৌরনদীর ধানডোবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রীকে (১৪) নিয়ে ভাড়া থাকতেন। একই বাড়িতে পাশের ঘরে স্ত্রী নাসিমা আক্তার (৩১) ও পুত্র আকাশকে (১৬) নিয়ে ভাড়া থাকতেন গৌরনদীর বানিয়াশুরী গ্রামের মানিক সরদার (৩৫)।
নিহত কিশোরের মা নাসিমা আক্তার অভিযোগ করেন, গত ১১ আগষ্ট প্রবাসীর স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৩৫) বাসায় কন্যাকে রেখে বাহিরে যান। এ সময় ওই ঘরে অজ্ঞাতনামা এক যুবকের সঙ্গে প্রবাসীর কন্যা কয়েক ঘন্টা একত্রে সময় কাটান। পরবর্তিতে এ নিয়ে তার (নাসিমার) সঙ্গে প্রবাসীর স্ত্রীর কথাকাটাকাটি ও এক পর্যায়ে ঝগড়াঝাটির ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রবাসীর স্ত্রী তাকে ও তার ছেলে আকাশকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
নিহত আকাশের বাবা মানিক সরদার জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ছেলে আকাশ মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে ফিরে অজ্ঞান হয়ে পরে। এ সময় তারা আকাশকে ধরে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত ৪টায় তাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা শেষ রাতে ঢাকায় প্রেরন করে। আহত আকাশকে এ্যাম্বুলেন্সে তোলার আগেই শেবাচিমে সে মারা যান। স্বজনরা লাশ নিয়ে বাড়িতে পৌছলে খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল শুক্রবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে পাঠান।
নিহতের মা নাসিমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, প্রবাসীর স্ত্রী ভাড়েটে খুনি দিয়ে আমার ছেলে আকাশকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরোয়ার বলেন, নিহতের মাথায় পিছনে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে কোন মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোর আকাশকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রবাসী স্ত্রী ও তার কন্যাকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply