সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ অপরাহ্ন
তানজিল জামান জয়,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি,।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধুলাসার ইউনিয়নের পশ্চিম চাপলী গ্রামে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গনধর্ষণের ঘটনায় পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করেছে। নির্যাতিতা গৃহবধুর স্বামী সিদ্দিক হাওলাদার বাদী হয়ে বুধবার এ এজাহার দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত মহিপুর থানার ওসিকে এজাহার মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করার নির্দেশ দেন। মামলার আসামীরা হলেন শাহ আলম, মো. শাহীন, মো. রবিউল, মো. আল আমিন, আব্দুর রশিদ ও মো. শাকিল মৃধা।এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত সোমবার রাতে তার খালা হাসিনা বেগমের বাসায় সশস্ত্র অবস্থায় ঢুকে তাদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সবাইকে বেঁধে ফেলে।
আসামীরা সিদ্দিক হাওলাদারকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে তার স্ত্রীকে খুনের ভয় দেখিয়ে প্রথমে শাহ আলম, মো. শাহীন, মো. রবিউল ধর্ষন করে। পরবর্তীতে আল আমিনের মাছের ঘেরে টেনেহিচড়ে নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আল আমিন, আব্দুর রশিদ ও মো. শাকিল মৃধা ধর্ষন করে। এতে গৃহবধু অসুস্থ্য হয়ে পড়লে পাশ্ববর্তী এক বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায়। এর আগে আসামীরা বসত ঘর থেকে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে নগট টাকা ও স্বর্ণালয়কার লুটে নেয়।
এ ঘটনার রাতে সিদ্দিক ও পরের দিন(মঙ্গলবার) তার স্ত্রী কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সিদ্দিকের অবস্থা গুরুতর তাকে পটুয়াখালী হাসপাতালে রেফার করা হয়। এ ঘটনায় সিদ্দিকের ভাই কবির হাওলাদার মঙ্গলবার রাত ৯টায় মহিপুর থানায় মামলা করতে গেলে প্রভাবশালী আসামীদের প্রভাবের কারনে মামলা নেয়া হয়নি বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।এ ব্যাপারে সিদ্দিক হাওলাদারের আইনজীবী মিজানুর রহমান হিরন জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিজ্ঞ বিচারক এজাহারটি আমলে নিয়ে মহিপুর থানার ওসিকে মামলাটি নথিভূক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।মহিপুর থানার ওসি সাইদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি।
Leave a Reply