মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯ অপরাহ্ন
তানজিল জামান জয়,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে আইনজীবী সহকারী মো: জামাল হোসেন আফজাল মারধর করে গুরুতর জখম করেছে মো: আমির হোসেন মৃধা নামের এক ব্যসায়ীকে। এঘটনায় আমির হোসেন মৃধা বাদী হয়ে মঙ্গলবার উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আইনজীবি সহকারী মো: জামাল হোসেন আফজালকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত ২/৩ জনের নামে মামলা করেছেন।
মামলার বিবরনে জানাগেছে, আইনজীবী সহকারী মো: জামাল হোসেন আফজাল মো: আমির হোসেন মৃধাকে খাস জমি বন্দোবস্ত পাইয়ে দেয়ার নামে ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখ ও সময় ৬ লাখ ৪৮ হাজার পাঁচ শত টাকা নেয়।
এবং ৬ মাসের মধ্যে সে আমিরের নামে খাস জমি বন্দোবস্তসহ কবুলিয়াত দলিল করিয়া দিবে। তার দেয়া সময় সীমা অতিবাহিত হইলে বারবার তাগাদা দিলে ওই আইনজীবী সহকারী জালজালিয়াতির মাধমে কাগজ পত্র তৈরী করে মিস কেস নং-২৭০ কে/৭২-৭৩ মূলে জে,এল নং- ২৮ মনসাতলী মৌজার এস,এ ১৮৯ নং খতিয়ানের দাগ নং-১৫৬১ হইতে ৭.৫০ একর জমি আমার নামে বন্দোবস্তের ভ’য়া কাগজ এমনকি পর্চাসহ সই মোহর নকল তৈরী করে দেয়।
এরপর আমি কলাপাড়া সহকারী কমিশনার ভ’মি অফিসসহ পটুয়াখালী রেকর্ড রুমে তল্লাশি দিয়ে দেখতে পাই উক্ত কেসের জমি অন্য লোকের নামে রহিয়াছে। এরপর গত ১১ মার্চ দুপুরে এতিমখানা কালভার্টের ওপর পেয়ে আমার আইনজীবী সহকারী জামাল হোসেন আফজালকে পেয়ে আমার দেয়া টাকা ফেরত চাইলে টাকা দিবেনা বলিয়া উত্তেজিত হইয়া আমাকে মারধর করে।
এতে আমার নাকের হাড় ভাঙ্গিয়া যায়। এবং জিআই পাইপ দিয়ে মারিয়া ডান হাতের দুটি আঙ্গুল ভংগিয়া শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলা জখম হয়। স্থানীয়রা আমাকে উদ্বার করে কলাপাড়া হাসপাতলে চিকিৎসা করায়। এর পর আমি কলাপাড়া আইনজীবী চৌকি আদালতের আইনজীবী সভাপতি/সম্পাদক বরাবর ন্যায় বিচারের আবেদন করিলে তারা ওই আইনজীবী সহকারীকে নোটিশ দিয়া আগামী ২০ মার্চ সালিস বৈঠকের দিন ধার্য করে।
কিন্তু আইনজীবী সহকারী তাদের অমান্য করে আমার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সিনিয়র উপজেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিথ্য মামলা করেছে। এব্যাপরে আভিযুক্ত আইনজীবী সহকারী মো: জামাল হোসেন আফজালের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্য।
Leave a Reply