মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ অপরাহ্ন
তানজিল জামান জয়,কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত বিশেষ ভিজিএফ’র চাল বিতরনের সময় ওজনে কমদিয়ে ১৭১৭ কেজি সরকারী চাল আত্মসাতের অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: মামুন হাওলাদারের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৯অক্টোবর) বিজ্ঞ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: শিহাব উদ্দীনের আদালত এ আদেশ প্রদান করেন।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় জেলেদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে, কলাপাড়া উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে মহিপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: মামুন হাওলাদারকে গ্রেফতার করে মহিপুর থানা পুলিশ। পরে কলাপাড়া পিআইও তপন কুমার ঘোষ বাদী হয়ে মহিপুর থানায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মামুন হাওলাদার ও ইউপি সদস্য সোবাহান হাওলাদারের নামে সরকারী চাল আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মহিপুর থানা পুলিশ অভিযোগটি দুদক আইনের তফসিলভুক্ত হওয়ায় পুলিশ আইনের ১৮৬১ ধারার বিধান মতে থানায় সাধারন ডায়েরী ভুক্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযোগটি পুলিশ সুপার পটুয়াখালী’র মাধ্যমে সমন্বিত জেলা কার্যালয় দুদকে প্রেরন করেন। এবং ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে মহিপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো: সাইদুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে মামুন হাওলাদারকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলের পূর্ব পর্যন্ত তাকে জেল হাজতে আটক রাখার আবেদন করেন।
স্থানীয় ভুক্তভোগী জেলেরা জানায়, গত ০৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের মা ইলিশ শিকার বন্ধের জন্য সরকার অবরোধ ঘোষনা করে। সেই অবরোধ কালীন জেলেদের খাদ্য সহায়তার জন্য মহিপুর ইউনিয়নের ১২শত জেলের জন্য ২০ কেজি হারে সরকারি ২৪ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ হয়। রবিবার সকাল ১০টা থেকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে জেলে পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ শুরু করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মামুন মেম্বার। বিতরনের দ্বিতীয় দিনে জেলেদের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমানের নির্দেশে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষ ও মৎস্য কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা সরেজমিন গিয়ে ভুক্তভোগিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং জেলেদের মাঝে বিতরনকৃত চাল পরিমাপ করে ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন
উল্লেখ্য, সরকারী চাল আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় এর আগে চাকামইয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও বালিয়াতলি ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যকে বিজ্ঞ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরন করেন। পরে দীর্ঘ হাজতবাসের পর উচ্চ আদালতের অনুকম্পায় জামিনে মুক্তি লাভ করেন তারা।
Leave a Reply