এবার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছেন বরিশাল বিভাগের ১১২ মুক্তিযোদ্ধা Latest Update News of Bangladesh

বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




এবার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছেন বরিশাল বিভাগের ১১২ মুক্তিযোদ্ধা

এবার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছেন বরিশাল বিভাগের ১১২ মুক্তিযোদ্ধা




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥  এবার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছেন বরিশাল বিভাগের ১১২ মুক্তিযোদ্ধা। প্রায় তিন বছর ধরে কয়েক দফা যাচাই-বাছাইয়ের পর এই ১১২ জনকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে এ-সংক্রান্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) কমিটি। আজ বুধবার সুপারিশসহ ওই তালিকা জামুকার ৬৭তম সভায় উপস্থাপন করা হবে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন জামুকার নয় সদস্যের কমিটিতে তালিকাটি অনুমোদন হলে শিগগির তাদের স্বীকৃতির বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলার ৫০, বানারীপাড়া উপজেলার ২৮, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ১১ ও পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার তিন ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হলে মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন সংশ্নিষ্ট ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যরা।

২০১৪ সালে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ও সরাসরি আবেদন করেছিলেন প্রায় দেড় লাখ ব্যক্তি। ২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে তাদের আবেদন দেশের ৪৭০টি উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করা হয়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রথম দফায় গত ১০ ডিসেম্বর দেড় লাখ ব্যক্তির মধ্যে এক হাজার ৩৭৯ ব্যক্তিকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করে জামুকা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার দ্বিতীয় দফায় স্বীকৃতি পাচ্ছেন ১১২ মুক্তিযোদ্ধা। অবশ্য যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতায় স্বীকৃতির জন্য সুপারিশপ্রাপ্তদের অনেকেই ইতোমধ্যে মারা গেছেন। তবে মন্ত্রণালয় বলছে, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ব্যক্তির অবর্তমানে তাদের পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধার ভাতাসহ সব সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।

জামুকার যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনায় দেখা যায়, উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটি তিন ক্যাটাগরিতে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতির বিষয়ে জামুকায় তালিকা পাঠিয়েছিল। তার মধ্যে শুধুমাত্র ‘ক’ তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের স্বীকৃতির বিষয়ে সুপারিশসহ নথিপত্র পর্যালোচনা করা হয়। বরিশাল বিভাগের উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন জামুকার সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। তার নেতৃত্বে উপকমিটি ‘ক’ তালিকাভুক্ত ১০ ভাগের নিচে সুপারিশপ্রাপ্ত ২০৮ জনের আবেদন পুনঃযাচাই-বাছাই করেন। সেখান থেকে চূড়ান্ত যাচাই-বাছাইয়ের পর ১১২ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও জামুকার চেয়ারম্যান আ ক ম মোজাম্মেল হক সমকালকে বলেন, ‘জামুকার সভায় সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে তাদের স্বীকৃতির বিষয়টি অনুমোদন পেলে শিগগির প্রজ্ঞাপনও জারি হবে।’

স্বীকৃতির জন্য মনোনীতরা হলেন- বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার গ্রামের শামসুর রহমান, সারকল গ্রামের মোসাসেফ আলী মোল্লা, বড় ভৈৎসব গ্রামের মো. সিরাজুল হক, নরোত্তমপুর গ্রামের খন্দকার এ সাত্তার, সলিয়াবাকপুর গ্রামের প্রয়াত আ. মালেক হাওলাদার, প্রয়াত মো. এনায়েত হোসেন, একেএম ইউসুফ আলী ও প্রয়াত মো. আব্দুল ওয়াহাব তালুকদার, উত্তরকুল গ্রামের মো. আলমগীর হোসেন, উত্তর নাজিরপুর গ্রামের প্রয়াত আ. রব মিয়া, কচুয়া গ্রামের মো. আনিসুর রহমান, উত্তরকুল গ্রামের প্রয়াত আব্দুস সাত্তার মিয়া, কুন্দিহার গ্রামের মো. ওয়াজেদ আলী ও আব্দুল মজিদ খান, বানারীপাড়ার ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রয়াত আ. আজিজ হাওলাদার, ব্রাক্ষণকাঠি গ্রামের মো. শাজাহান সরদার, গাভা গ্রামের প্রয়াত মো. জাকির হোসেন (জয়নাল), দক্ষিণ নাজিরপুর গ্রামের মো. শাহ ই কবির, কুন্দিহার গ্রামের সত্য রঞ্জন গাইন, ধারালিয়া গ্রামের প্রয়াত মো. জিয়াউল ইসলাম খান, বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামের রসময় সমাদ্দার, আরব আলী হাওলাদার ও মো. সাহেব আলী হাওলাদার, জলা গ্রামের আ. রব সরদার, ভবানীপুর গ্রামের মো. নুরুল ইসলাম, যোগিরকান্দা গ্রামের প্রয়াত মো. শাহ আলম, কেশবকাঠি গ্রামের মো. সেকান্দার আলী মৃধা, ভবানীপুর গ্রামের হোসেন আহম্মদ মল্লিক, কাংশী গ্রামের প্রয়াত আব্দুস সালাম সরদার ও প্রয়াত সফিকুল ইসলাম, দত্তসর গ্রামের প্রয়াত আশ্রাব আলী ও মো. আবুল কালাম মিয়া, শোলক গ্রামের নান্নু খান, সাকরাল গ্রামের মো. বাহা উদ্দিন, মালিকান্দা গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেন খান, নরসিংহা গ্রামের প্রয়াত আ. সাত্তার হাওলাদার, মালিকান্দা গ্রামের রনজিত কুমার রায়, গরিয়াগাভা গ্রামের মো. সাত্তার, হস্তিশুণ্ড দক্ষিণ মাদারসি গ্রামের আব্দুর রব ফকির, উজিরপুর গ্রামের প্রয়াত মো. মোকছেদ আলী সিকদার ও প্রয়াত বাবু লাল শীল, মুণ্ডপাশা গ্রামের আ. আজিজ হাওলাদার, তেরদ্রোন গ্রামের আজিজুর রহমান খান ও হাবিবুর রহমান খান, কাকরাদারী গ্রামের অনিল চন্দ্র দাস, আশোয়ার গ্রামের প্রয়াত অ্যাডভোকেট খায়রুল আনাম, ভাইটশালী গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন, বরিশাল সদর উপজেলার প্রয়াত সিপাহি আ. খালেক তালুকদার, শোলনা গ্রামের প্রয়াত মোজাম্মেল হক সরদার, উত্তর কড়াপুর গ্রামের মো. শাহজাহান তালুকদার, কড়াপুর গ্রামের মো. আবদুস কুদ্দুস সেলিম ও আব্দুর রব সিকদার মিন্টু, শোলনা গ্রামের মো. হামিদুল হক সরদার, ধর্মাদী গ্রামের আইউব আলী হাওলাদার, গণপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল কুদ্দুস, সারসী গ্রামের মো. ওমর আলী সিকদার ও সুবেদার মেজর (অব.) মো. হাফিজুর রহমান, উত্তর লাকচারী গ্রামের প্রয়াত আব্দুস সাত্তার মীর, মুকুন্দপট্টি গ্রামের প্রয়াত আসমান খান, সাপানিয়া গ্রামের প্রয়াত মো. আব্দুর রব হাওলাদার, চরবাড়িয়া গ্রামের শহীদ আ. রহমান খান, হায়াৎসার গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন ও মো. আব্দুল করিম হাওলাদার, আটহাজার গ্রামের প্রয়াত মো. ইসমাইল ফকির, ফরফরিয়াতলা গ্রামের আলম হাওলাদার, চরমোনাই গ্রামের মো. মোশারফ হোসেন, চণ্ডীপুর গ্রামের মো. আবদুস সালেক সরদার, মো. আমির আলী আকন, প্রয়াত মহসিন আলী আকন ও প্রয়াত আব্দুল জলিল হাওলাদার, চরকাউয়া গ্রামের প্রয়াত মো. সুলতান মৃধা, কর্ণকাঠি গ্রামের মো. নুরজামাত খান, প্রয়াত আলী আহম্মেদ খান, মো. আলমগীর হোসেন, প্রয়াত আব্দুল হক হাওলাদার ও প্রয়াত মো. আব্দুর রহমান হাওলাদার, চরকাউয়া গ্রামের প্রয়াত মো. দেলোয়ার হোসেন, চরকরঞ্জী গ্রামের প্রয়াত সুলতান আহম্মেদ চৌধুরী, চরআইচা গ্রামের মো. আনিছুর রহমান গাজী, চরকরঞ্জী গ্রামের মোহাম্মদ আলী খান, প্রয়াত আবু তাহের, চাঁদপুরা গ্রামের এবিএম ফারুক, সারুখালী গ্রামের প্রয়াত আপ্তার আলী আকন, সিংহেরকাঠি গ্রামের প্রয়াত মো. ইউনুছ হাওলাদার, অ্যাডভোকেট নাসির আহম্মেদ খান, মো. আবুল হোসেন খান, মো. বজলুর রহমান খান, প্রয়াত বিচারপতি আলতাফ হোসেন খান (অরুণ), বিশারদ গ্রামের মো. সেলিম হাওলাদার, পতাং গ্রামের প্রয়াত মো. কেরামত আলী মোল্লা, মো. হুমায়ুন কবির আকন, জিবদলন গ্রামের এবিএম হারুণ অর রশিদ, চাষী গ্রামের মো. সাখাওয়াত হোসেন, সোমরাজী গ্রামের প্রয়াত ফণীভূষণ নন্দী, মো. আব্দুল ওহাব খান, জিবদলন গ্রামের মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. সিরাজুল ইসলাম, পতাং গ্রামের প্রয়াত আ. রশিদ হাওলাদার, বরিশালের নলছিটি উপজেলার ষাটপাকিয়া গ্রামের প্রয়াত আ. কাদের খান, নলবুনিয়া গ্রামের মো. মজিবুর রহমান, ভরতকাঠি গ্রামের আবদুস ছোবহান খলিফা, চাঁদপুরা গ্রামের মো. সুলতান আহম্মেদ খান, খাগরাখানা গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম, খুলনা গ্রামের প্রয়াত মো. আব্দুল আজিজ মোল্লা, দক্ষিণ ডোবরা গ্রামের মো. আব্দুল জব্বার, কামদেবপুর গ্রামের মো. মোজাম্মেল হক, আমতলী গ্রামের এ কে নুরুল ইসলাম, রাজবাড়িয়া গ্রামের মো. মোস্তফা সিকদার, রাজাবাড়িয়া গ্রামের আবদুল মতিন সিকদার, উত্তমাবাদ গ্রামের জয়নাল আবেদীন তালুকদার, দক্ষিণ কামদেবপুর গ্রামের মো. আবদুস সাত্তার, মো. আবুল হোসেন, সদরে হাইস্কুল রোডের হৃদয় দত্ত ভিলার প্রয়াত ক্ষিতীশ চন্দ্র দত্ত, খাওক্ষীর গ্রামের আবদুর রব বাহাদুর, পিরোজপুরের ইন্দুরকানি গ্রামের আ. মান্নান হাওলাদার এবং বালিপাড়া গ্রামের ইউছুব আলী গাজী ও মোহাম্মদ আলী।

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্তির জন্য ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে এক লাখ ২৩ হাজার ১৫৪টি এবং সরাসরি ১০ হাজার ৯০০টি আবেদন জমা নেওয়া হয়। পাশাপাশি আবেদনে উপজেলা বা জেলার নাম উল্লেখ করা হয়নি, এমন আবেদনও পাওয়া যায় পাঁচ হাজার ৫৫৩টি। মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে আবেদনের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। তাদের সবাইকে যাছাই-বাছাইয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। ২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে দেশের ৪৭০টি উপজেলা, জেলা, মহানগরে কমিটি গঠন করে আবেদনকারী ব্যক্তিদের যাচাই-বাছাই শুরু করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৪৭০টি কমিটির মধ্যে ৩৮৫টি তাদের প্রতিবেদনে ‘ক’ তালিকায় ২৬ হাজার ৯৪২ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য সুপারিশ করে। ওই আবেদন পর্যালোচনা করে তাদের মধ্য থেকে গত ডিসেম্বরে প্রথম দফায় এক হাজার ৩৭৯ জনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এবার দ্বিতীয় দফায় পেতে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছেন ১১৫ জন। তবে শুধু খুলনা বিভাগের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন না পাওয়ায় তাদের স্বীকৃতির বিষয়টি এখনও ঝুলে রয়েছে। অন্যদিকে ৮৫টি উপজেলা কমিটির কার্যক্রম আইনি জটিলতায় থমকে আছে। যাচাই-বাছাই কার্যক্রম ও কমিটি গঠন নিয়ে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা পৃথক রিট করায় এসব কমিটির কার্যক্রমে বর্তমানে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD