সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিনে সন্তোষ প্রকাশ করে তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেছেন, ‘এটি আমার বিজয়, আদালতের প্রতি আমি ও আমার পরিবার কৃতজ্ঞ। তবে এখনো মামলার সব আসামি গ্রেফতার হয়নি, তাই আমি হুমকিতে আছি। বিভিন্ন ধরনের হুমকি রয়েছে, তবে হত্যার হুমকি নেই।বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) আদালতে দুই শর্তে মিন্নির জামিন ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন।
আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুব খুশি যে ন্যায়বিচার এখনো বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হয়, এটার প্রমাণ আজকে পাওয়া গেল। দুষ্কৃতিকারীরা যেগুলো করছে সেগুলো সব জনসম্মুখে প্রকাশ পেয়েছে। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে গর্বিত। আমি সুন্দর একটা রায় পেয়েছি। এটি আমার বিজয়।মিন্নিকে কেন জামিন দেওয়া হবে না- এমন রুলের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, সে মর্মে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে রায়ের জন্য দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসাইন বাপ্পী।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, মিন্নি ঘটনার পরিকল্পনাকারী। এখনো মামলার অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়নি। ন্যায় বিচারের স্বার্থে তাকে যেন জামিন দেওয়া না হয়।
মিন্নিকে যে দুই শর্ত মানতে হবে
এক- জামিনে থাকা অবস্থায় মিন্নি তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের জিম্মায় থাকবেন।
দুই- জামিনে থাকা অবস্থায় তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না।
গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিন্নির স্বামী রিফাত শরীফকে। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। ঘটনার পর দিন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নামে এবং চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
Leave a Reply