শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট: আমতলী উপজেলা চাওড়া ইউনিয়নের মধ্য চন্দ্রা খালের সেতুটি বুধবার সন্ধ্যায় আকস্মিক ধসে পরে। সেতু ধসের ফলে ওই এলাকার ৪টি গ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার মাসুষসহ ২টি বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের মধ্যচন্দ্রা খালের উপর ২০০১ সালে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ১টি লোহার সেতু নির্মান করা হয়। সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে কোন সংস্কার না করায় বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা পারাপারের সময় আকস্মিক খালের মধ্যে ধসে পড়ে।
সেতুটি ধসে কামাল (২৩), জামাল হাওলাদার (২৫) ও রাসেল ব্যাপরী (২৭) নামে ৩ পথচারী আহত হয়। তাদেরকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সেতুটি ধসের ফলে মধ্য চন্দ্রা, পূর্বচন্দ্রা, উত্তর চন্দ্রা ও পশ্চিম চন্দ্রা গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পরেছে।
ওই সেতু পার হয়ে প্রতিদিন শতাধিক লোক আমতলী উপজেলা শহরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলাচল করে। এছাড়া ওই সেতু পার হয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী মধ্য চন্দ্রা সরকারী প্রাথমিক ও মধ্য চন্দ্রা নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করে। সেতু ধসের ফলে বৃহস্পতিবার থেকে তাদের স্কুলে আসা যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।
নাঈম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন সেতু ধসে পরায় এখন আমাদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। মধ্যচন্দ্রা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী জোবায়দা নাহার বলেন, সেতু ধসে পড়ায় আমাদের স্কুলে আসা যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। স্কুলে যেতে না পারলে আমাদের লেখা পড়ায় অনেক ক্ষতি হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিন আকন বলেন, সেতু ধসের ফলে এলাকার প্রায় শতাধিক শিক্ষঅর্থীর স্কুলে আসা যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া গ্রামবাসী এই সেতু পারাপার করে আমতলীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলাচল করত। এখন তা বন্ধ হয়ে গোলো। এখন চলাচলে আমাদের অনেক ভোগান্তি হবে।
আমতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রোকৌশল বিভাগের প্রকৌশলৗ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এখানে গর্ডার সেতু নির্মানের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে কাজ শুরু করা হবে।
Leave a Reply