মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন
থানা প্রতিনিধি॥ আগৈলঝাড়ায় ওয়াপদা খালে অবৈধভাবে ২০ বছর যাবত বাঁধ দিয়ে প্রভাবশালীদের করা মাছ চাষের সেই অবৈধ বাঁধ বৃহস্পতিবার কেটে দিয়েছে স্থানীয় পানি বন্দি ভুক্তভোগীরা। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, গৈলা ইউনিয়নের কালুপাড় থেকে ঘোড়ারপাড় পর্যন্ত এবং তালতা খালে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত মাছ চাষ করে আসছিল স্থানীয় প্রভাবশালী শামীম খান, সরোয়ার বিশ্বাস, এনায়েত খান গংরা।তাদের দেয়া ওই অবৈধ বাঁধের কারণে গৈলা ও রত্নপুর ইউনিয়নের কালুরপাড়, রামের বাজার, বরিয়ালী, চাপচুপা, ঘোড়ারপাড়সহ ছয়গ্রামের অন্তত ২৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়েছিল।
খালে বাঁধ দেয়ার কারনে পানি চলাচল বন্ধ থাকায় ওই এলাকার পানি পচে দুষিত হয়ে মশা-মাছি ও বিভিন্ন প্রকার পোকা মাকড় জন্মে বিভিন্ন অসুখ বিসুখে ভুগছিলেন স্থানীয়রা। প্রশাসনের কাছে বার বার ধর্ণা দিয়েও কোন সারা না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভোগী জনগন একত্রিত হয়ে রামেরবাজার ও কালুরপাড় নামক স্থানে দেয়া অবৈধ দু’টি বাঁধ কেটে দিয়েছে। রামের বাজারের ইয়াছিন সরদার বলেন, খালে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে প্রভাবশালীরা তাদের প্রায় ২০ বছর যাবত পানি বন্দী করে রেখেছিল। বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে বাঁধ কেটে দেয়ার কথা জানান তিনি।
গৈলা ইউপি সদস্য মো. মশিউর রহমান সরদার বলেন, ভুক্তভোগী স্থানীয় জনগন গৈলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিটুর কাছে পানি বন্দির কথা জানিয়ে আবেদন করেছিলেন। স্থানীয়রা অবৈধ বাঁধ দুটি কেটে দেয়ায় কয়েক হাজার লোক পানি বন্দি থেকে আজ মুক্ত হয়েছে। জনগনের বাঁধ কাটার সত্যতা স্বীকার করে গৈলা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল হোসেন টিটু বলেন, ওই এলাকার ভুক্তভোগী প্রভাবশালী দখলদারদের কারণে শত দুঃখ কস্টের মধ্যে জীবন যাপন করলেও তারা দীর্ঘ দিনেও মুখ খুলতে সাহস পায়নি। প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়ায় বাধ্য হয়ে তারা অবৈধ বাঁধ কেটে দিয়েছে।
Leave a Reply