শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০১:১৪ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ আগামীকাল দেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা। মুসলিম উম্মাহর অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব এই দিনটি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে ত্যাগের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে পালন করেন মুসলমানরা। রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইতোমধ্যে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। কোরবানির পশু কেনা, শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা ও প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মানুষজন।
এই উৎসবের মূল শিক্ষা হচ্ছে আত্মত্যাগ, সহানুভূতি ও আল্লাহভীতির মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জন। হজরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর আদেশ পালনে নিজ পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি দিতে প্রস্তুত হয়েছিলেন—সেই মহান ঘটনার স্মরণেই কোরবানির এই দিনটি পালিত হয়। তাই ঈদুল আযহা কেবল উৎসব নয়, বরং এক গভীর আধ্যাত্মিকতার প্রতীক।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাটে গরু, খাসি, উটসহ কোরবানিযোগ্য পশুর বেচাকেনা চলছে জোরেশোরে। অনেকেই পছন্দের পশুটি কিনে বাড়ি ফিরেছেন। তবে এবার পশুর দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষকে ভাবনা-চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। বিক্রেতারাও ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে পশুর পরিচর্যায় দিচ্ছেন বাড়তি মনোযোগ।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি, নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় প্রশাসন এসব নির্দেশনার বাস্তবায়নে সক্রিয় রয়েছে। ঈদের দিন সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে মসজিদ ও ঈদগাহে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন মুসল্লিদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে জামাতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ইসলামী বিধান অনুযায়ী, কোরবানির পশুর মাংস তিন ভাগে বিভক্ত করে আত্মীয়, গরিব-দুঃস্থ ও নিজের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। এই প্রথা সমাজে সাম্য, সহানুভূতি ও সহাবস্থানের বার্তা পৌঁছে দেয়।
মসজিদের খুতবায় আলেম সমাজ ত্যাগের প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণে মুসলমানদের উৎসাহিত করছেন। কোরবানির মাধ্যমে যেন আত্মশুদ্ধি অর্জন হয়, সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। ঈদের উৎসবে নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে।
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঈদুল আযহা যেন শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও অর্থবহ হয়—এ প্রত্যাশা সকল নাগরিকের।
Leave a Reply