শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫২ অপরাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরে ছাত্রলীগ নেতার হাতের কব্জি কেটে নেয়ার সপ্তাহ পার হলেও, মূল হোতাদের এখনও ধরতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ক্ষোভ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা। চিকিৎসকরা জানান, সুস্থ হতে তার দীর্ঘ সময় লাগবে, আর্থিক যোগান হলে প্লাস্টিকের বিকল্প হাত লাগানো সম্ভব।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যালের পঞ্চম তলায় অর্থোপেডিক্স ইউনিটে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন শুভ শীল। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শুভ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। ১৮ই আগস্ট সন্ধ্যার দিকে ৪০/৪৫ জন মিলে কুপিয়ে হাতের কব্জি কাটে এই ছাত্রলীগ নেতার।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ন্যাক্কারজনক এমন ঘটনা ঘটিয়েছে দাবি করে বিচার চান ছাত্রলীগের নেতারা। তারা বলেন, ‘ওকে শেষ করতে পারলে তারা ওখানে ইয়াবার রাজত্ব করতে পারে। তাই তারা ওকে মেরে ফেলত চেয়েছিলো।ওই সন্ত্রীদের আইনের আওয়ায় এনে সুষ্ঠু ও সুন্দর বিচার করতে হবে।
মূল হোতাদের এখনও ধরতে না পারায় ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীর পরিবার। শুভর মা রেখা রানী শীল বলেন, ‘আমরা ছেলের সঙ্গে কেন এমন করলো। ওকে তো মেরেই ফেলেছিলো। দুইজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। সবাই এখনও গ্রেপ্তার হয়নি।’ শুভর বাবা শ্যামল শীলের দাবি, ‘সুষ্ঠু বিচার চাই। সে ব্যবস্থা দল করবে এটাই আমার চাওয়া।
শুভ জানান, ছাত্রলীগ নামধারী কয়েকজন মাদক ব্যবসা করতো, বাধা দেয়ায় তার ওপর হামলা হয়েছে। তিনি দৃষ্টান্ত মূলক বিচার চান। পিরোজপুর মঠবাড়িয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা শুভ শীল বলেন,’ছাত্রলীগ থেকে বিমুখ করার জন্যই তারা এ প্রচেষ্টা চালিয়েছে। তারা আমাকে মাদকাশক্ত করার চেষ্টাও করেছে। তারা আমাকে আগেও একবার মেরেছিলো। আমি মামলাও করেছি।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় লাগবে। শেবাচিম ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশন সভাপতি ডা সুদীপ হালদার জানান, ‘মেন্টালি ট্রমাটাইজ থাকার জন্য সে আসলে শারীরিকভাবে সুস্থ না। আমরা চেষ্টা করছি তার জন্য কৃত্রিম হাত লাগানোর ব্যবস্থা করার।
এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ; বাকিদেরও ধরার চেষ্টা চলছে। পিরোজপুর মঠবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ. জা. মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান জানান, ‘আমরা ইতিমধ্যে দুইজন আসামিকে গ্রপ্তার করেছি। বাকিদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছি। অচিরেই প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনবো।’
Leave a Reply