রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৩ অপরাহ্ন
মোঃ শামীম হাসান॥ অবহেলিত জনপদ হিসাবেই পরিচিত বানারীপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়নের ১ ং ওয়ার্ড..সারা দেশব্যাপী যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের জয়ের ধ্বনি শোনা জায় ঠিক তখনই এখানকার মানুষের কন্ঠে ভেষে ওঠে হতাশা আর দুঃখ ভারাক্রান্ত অশ্রুসিক্ত বানী।
এ যেন মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।স্বধীনতার কয়েক দশক পার হলেও দৃশ্যমান তেমন কোনো উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি এই অবহেলিত জনপদে। বিশেষ করে বরিশাল জেলা এবং বানারীপাড়া উপজেলার একেবারে প্রত্যন্ত এলাকা হওয়াতে মিডিয়া বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অগোচরেই রয়ে গেছে এই এলাকার মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা।
ভুক্তভুগিরা এই প্রতিবেধককে জানান যে এখানে বসবাসরত ছেলে মেয়েরা শিক্ষার উদ্দ্যেশে ১ ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে পায়ে হেটে প্রায় ১৫/২০ টি সাকো পার হয়ে হয়ে স্কুলে যেতে হয়। কিন্তু ছোট ছোট বাচ্চারা সাকো পার হওয়ার সময় সাকো হতে পড়ে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। তাছাড়া বর্ষা মৌসুম এলেই নতুন বিড়ম্বনা। তখন প্রায় সকল রাস্তাই পানির নিচে তলিয়ে যায়।ফলে যাতায়াতের একমাত্র অবল্বন হয় নৌকা। তখন বাধ্য হয়েই নৌকাযোগে বিদ্যালয়ে যেতে হয় এইসকল কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।
কিন্তু অনেকেই আছেন যারা সাতার জানেন না তাই বর্ষা মৌসুমে বাবা মা অনেক ভয় নিয়ে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠান । কারন সামান্য অসাবধানতায় ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
তারা অভিযোগ করে বলেন নির্বাচন এলেই নাম মাত্র প্রতিনিধিরা আমাদের কাছে এসে আমাদেরকে বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা ফুল ফোটার আগেই কলিতে ঝরে যায়।
কেউই কথা রাখে না। এমনকি এখানকার সাকো মেরামত করার জন্যও কোনো সরকারি তহবিল থেকে আর্থিক বরাদ্দ পায় না।ফলে তাদের নিজস্ব অর্থায়ন এবং পরিশ্রমেই মেরামতের কাজ করতে হয়।কয়েক দশকেও হয় নি এই এলাকার যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন মাটির রাস্তাটি সংস্কারের কাজ।
তাই স্থানীয় প্রতিনিধিদের কাছে তাদের আকুল আবেদন যেন তারাও প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ছোয়া পেয়ে আশির্বাদপুষ্ট হতে পারে।
Leave a Reply