শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:০৩ অপরাহ্ন
এইচ.এম হেলাল ॥ আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ডাকসু নির্বাচন শুধু একটি শিক্ষার্থী নির্বাচন নয়, বরং এটি দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য এক নতুন ‘ম্যাট্রিক্স’। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “যদি আমরা ৯১, ৯৬ বা ২০০১ সালের মাপকাঠি দিয়ে ২০২৫ কে পড়ার চেষ্টা করি, তাহলে সেটা ভুল হবে। কারণ তরুণ প্রজন্ম এখন ভিন্ন রাজনৈতিক গ্রামার তৈরি করছে।”
তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনকে ইসলামপন্থি, জামায়াত-শিবির বা মৌলবাদের উত্থান হিসেবে ব্যাখ্যা করা বিভ্রান্তিকর। “এটি তরুণদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি কিংবা বামপন্থি অনেকেই তরুণদের চিন্তা ও অবস্থান বুঝতে পারছে না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “যে ভোটগুলো শিবির পেয়েছে, তার সবগুলো শিবিরের ভোট নয়। বরং অনেক ‘না ভোট’ দিন শেষে সেখানে জমা হয়েছে। তাই শিবিরের বাড়াবাড়ি করার কিছু নেই।”
ভোট কারচুপির অভিযোগ প্রসঙ্গে ফুয়াদ বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় শতাধিক সাংবাদিক নির্বাচনের দিন উপস্থিত ছিলেন। প্রতিটি বুথে সিসি ক্যামেরা ছিল এবং এলইডি স্ক্রিনে ভোট গণনা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জালিয়াতির অভিযোগ করা মানে হলো তরুণদের প্রতি অন্যায়।”
তিনি বলেন, “তরুণরা এখন দল বা প্রতীক দেখে ভোট দেয় না। বরং তারা ভোট দেয় স্বচ্ছতা, ভদ্রতা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে। যে প্রার্থীকে দেখে মনে হবে সে সমাজে অবদান রাখবে, তাকেই তারা ভোট দেয়।”
এবি পার্টির এই নেতা বলেন, “৭১ ব্যবসা, ২৪ ব্যবসা, চেতনা ব্যবসা কিংবা কেনা-বেচার রাজনীতি দিয়ে এখন আর কেউ তরুণদের আস্থা পাবে না। ঠিকাদারির রাজনীতি এখন মৃত।”
তিনি আরও বলেন, “ডাকসু নির্বাচন প্রমাণ করেছে—দেশে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি ছাড়া অন্য দলও আছে এবং তারা জামায়াত-শিবিরকে ভোট দেয়নি। তাই যারা মনে করেন অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন শুধু ওই দুই দলের অংশগ্রহণের ওপর নির্ভর করবে, তারা ভুল করছেন।”
ফুয়াদ বলেন, “দেশ এখনো শান্ত হয়নি। আমরা এখনো ভলকানোর ওপর বাস করছি। যেকোনো সময় পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে তরুণদের আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান জানাতে হবে, অস্বীকার করলে সবাই সমষ্টিগতভাবে হেরে যাবে।”
প্রেস ব্রিফিংয়ে এবি পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগর কমিটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply