শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসভবনে অগ্নিকান্ডে উদ্ধার হওয়া আগুনে পোড়া লাশটি কাউন্সিলর গাজী নঈমুল হোসেন লিটুর। শুক্রবার বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাউন্সিলর লিটুর স্ত্রী বেগম নাজমা ও তার ভাই বরুন।
লিটু বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি নগরীর নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা ও ভাষা সৈনিক মরহুম অধ্যক্ষ হোসেন আলীর ছেলে। রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার আগে তিনি মথুরানাথ পাবলিক স্কুলে সহকারি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
গত ৫ আগস্ট সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বরিশাল নগরীর কালিবাড়ি রোডে বিসিসি’র সাবেক মেয়র সাদিকের বাসভবনে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ওইদিন রাতে একটি কক্ষের মধ্য থেকে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া তিন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। পরবর্তীতের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মঙ্গলবার নগরীর নাজির মহল্লা এলাকার বাসিন্দা কাঞ্চন ফরাজীর ছেলে নুর ইসলাম নুরু (৪৫) ও বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার সঠিখোলা গ্রামের বাসিন্দা মজিবর রহমান জোমাদ্দারের ছেলে মঈন জোমাদ্দার (৪৫)কে শনাক্ত করেছিল স্বজনরা। বাকি একটি লাশ শনাক্তে কোন স্বজন হাসপাতালের মর্গে না আসায় তা এতদিন নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম বলেন, একটি লাশের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় সোমবার রাত থেকে মর্গের হিমাগারের ছিল। লাশের পরিচয় শনাক্তসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কাগজপত্র পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোস্তফিজুর রহমান জানান, কাউন্সিলর লিটুর পরিবার লাশ শনাক্ত করেছে। পরিবারের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেয়া হবে।
Leave a Reply