রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিত ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে সোমবার রাতে ইন্দুরকানী থানায় মেয়েটির প্রেমিককে প্রধান আসামি করে মোট চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আসামিদের মধ্যে একজন জনপ্রতিনিধিও রয়েছেন। অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধি উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী বালিপাড়া ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। একই গ্রামের মামলার প্রধান আসামির সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ভিকটিম ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে প্রেমিক। আর এ কাজে সহযোগিতায় ছিলেন তার আরো দুই সহযোগী। ঘটনাটি জানাজানি হলে বিয়ের দাবি তোলে ওই ছাত্রী। তবে বিয়েতে রাজি নন প্রেমিক। ঘটনাটি মীমাংসার কথা বলে ছেলেপক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে জোরপূর্বক মেয়ের পরিবারের কাছ থেকে তিন শ টাকার সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেন চন্ডিপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের অভিযুক্ত ইউপি সদস্য। এরপর বিচারের দাবিতে ইন্দুরকানী থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দেন নির্যাতিতার পরিবার।
অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধি উপজেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার ভাই ও নিজেও যুবলীগ নেতা। অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে মীমাংসা করার জন্য কয়েকবার বৈঠকে বসেছি। কিন্তু মীমাংসা না হওয়ায় আমাকে জড়িয়ে থানায় ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। মীমাংসার জন্য কোনো টাকা-পয়সা নেওয়া হয়নি।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খাইরুল ইসলাম জানান, ইন্দুরকানী থানায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে নির্যাতিতা বাবা বাদী হয়ে রাতেই মামলা দায়ের করেছেন। থানা পুলিশ অভিযুক্ত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
Leave a Reply