শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৫ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামে ৩ একর জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার প্রভাবশালী ভূমিদস্যু মোঃ শাজাহান (সাজু’র) বিরুদ্ধে। জমির প্রকৃত মালিকরা জমি কাছে গেলে তাদের খুন ও গুমের হুমকী দেওয়া হচ্ছে। তাই নিরুপায় হয়ে জমির মালিক এ বিষয়ে ভোলা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জমির মালিক রাকিব উদ্দিন অমি লিখিত অভিযোগ করে জানান, তার পিতা মৃত মোঃ মহিউদ্দিন আহম্মেদ মিল্টন দক্ষিণ রাজাপুর মৌজার ১১৭০ ভোঃ/৬৬-৬৭ নং বন্দোবস্ত কেসের মাধ্যমে প্রাপ্ত ৭০৪৯/১৬ নং দাগের ৩ একর জমি বরাদ্দ পান। তার পিতা জীবিত থাকা অবস্থায় ওই জমি ভোগ দখল করেন। পিতার মৃত্যু পর র্দীঘ দিন তারা ওই জমির কাছে জাননি। এ সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু মোঃ শাজাহান (সাজু) জোরপূর্বক জমি দখল করেন।
সাজুকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাস করলে সে জমি মেপে নিতে বলে। পরে আমি ১৭ ডিসেম্বর-২০ সালে ভোলা জেলা প্রশাসকের কাছে জমির সিমান বিরোধ এরাতে একটি আবেদন করি। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এবছর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোলা সদর উপজেলার সহকারী কশিশানার (ভূমি) মোঃ আবু আব্দুল্লাহ খান ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাকে জমি মেপে বুঝিয়ে দেন। এবং ভূমিদস্যু শাজাহানকে জমি দখল মুক্ত করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু সরকারি আদেশ উপেক্ষা করে শাজাহান জোরপূর্বক এখন জমি দখল করে আছেন।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ওই জমিতে বাবা অনেক গাছ লাগিয়েছেন এবং পুকুরে আমরা মাছ চাষ করি। কিন্তু ভূমিদস্যু শাজাহান আমাদের গাছ কেটে বিক্রি করে দেয় এবং পুকুরের মাছ ধরেও বিক্রি করে দেয়। এবং তিনি স্থানীয় জাকির জাগিরদার, তাজল ইসলাম, বারেক মাতাব্বর, দুলু মুন্সি, লালু মুন্সির থেকে টাকা নিয়ে জমি বিক্রয় করার কথা বলে তার ওই জমিতে ঘর তুলে দেয়। আমরা বাঁধা দিলে সে আমাকে খুন করে লাশ গুম করে এবং তার মেয়ে রুমাকে দিয়ে মিথ্যা নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার হুকমী দেয়।
শাজাহান (সাজু) স্থানীয় প্রভাবশালী একজন ভূমিদস্যু। তার কয়েকটি ডাকাত বাহিনী রয়েছে। যারা রাতে সুযোগ বুঝে নদীতে ডাকাতি করে এবং জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করেন।
অভিযুক্ত শাজাহানের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে ভোলা সদর উপজেলার সহকারী কশিশানার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু আব্দুল্লাহ খান জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা একাধিকবার উভয় পক্ষের জমির দলিল ও কাগজপত্র নিয়ে বসি। এতে রাকিব উদ্দিন অমির প্রতিপক্ষ শাজাহান গংরা নির্বর যোগ্য কোন কাগজ দেখাতে পারেনি। এবং রাকিব উদ্দিন অমির কাগজে জমির মালিকানার সত্যতা রয়েছে। তাই ২৪ ফেব্রুয়ারি আমরা সরজমিনে গিয়ে জমির মালিক রাকিব উদ্দিন অমিকে তার জমি বুঝিয়ে দিয়ে আসি এবং শাজাহানকে জমি দখল মুক্ত করার নির্দেশ দেই।
এদিকে ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এনায়েত হোসেন জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply