তালতলীতে ছোট ভাইয়ের মামলা-হামলার অত্যাচারে অতিষ্ঠ বড় ভাই Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বরিশালে বৃষ্টির পূর্বাভাস এক যুগ পর ৭০ বছরের বৃদ্ধাকে পরিবারে ফিরিয়ে দিল ফেসবুক! দেশের বাজারে কমেই চলছে সোনার দাম শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনজীবী পাঠালেন আইনি নোটিশ শেবাচিমে র‌্যালী, বিশেষ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী পালিত বরিশালে নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের উপর হামলা, ইউপি সদস্য গ্রেফতার আওয়ামী লীগকে নির্বাচনী প্রস্তুতি দেখার আমন্ত্রণ জানালো ভারত একই সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী ও প্রধানমন্ত্রীর পার্সোনাল অফিসার তিনি! বরিশালে শ্রমিক সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল কলাপাড়ায় বজ্রপাতে মারা গেছে তিনটি গরু




তালতলীতে ছোট ভাইয়ের মামলা-হামলার অত্যাচারে অতিষ্ঠ বড় ভাই

তালতলীতে ছোট ভাইয়ের মামলা-হামলার অত্যাচারে অতিষ্ঠ বড় ভাই

তালতলীতে ছোট ভাইয়ের মামলা-হামলার অত্যাচারে অতিষ্ঠ বড় ভাই




তালতলী প্রতিনিধি॥ বিরোধ পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে। এর জেরে ছোট ভাইয়ের একের পর এক মামলা ও হামলায় অতিষ্ঠ বড় ভাই। বিরোধ নিষ্পত্তিতে একাধিক সালিস বৈঠক বসলেও কোনো সমাধান হয়নি বরং বেড়েছে দূরত্ব।

 

 

বরগুনার তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া এলাকার হুলাটানা এলাকায় মৃত মফেজ উদ্দীন মৌলবীর ছেলে মাইন উদ্দীন ও ফরিদ উদ্দীন আপন দুই ভাই।

 

 

মাইন উদ্দীন জানান, বাবা মফেজ উদ্দীন জীবিত থাকা অবস্থায় পৈত্রিক সম্পত্তি সমানভাগে ভাগ করে। তখন থেকে দুই ভাই ভোগদখল করে আসছিলেন। এর মধ্যে ২০১০ সালে ছোটভাই ফরিদ উদ্দীন চার বিঘা জমির দলিল নেন। ২০১৪ সালে বড় ভাই মাইনউদ্দীনও বাবার ১০ বিঘা জমি কিনে নেন। ২০১৮ সালে বাবা মফেজ উদ্দীন মারা যান। এরপর বড় ভাই মাইনুদ্দিন বাবার কাছ থেকে ক্রয় করা জমি চাষাবাদের চেষ্টা করলে ছোটভাই ফরিদ ও তার ছেলেরা বাধা দেয়। এক পর্যায়ের মাইনুদ্দিন ও তার ছেলে সরোয়ারকে মারধর করেন ছোটভাই ফরিদ ও তার ছেলেরা। উল্টো থানায় মামলা দিয়ে পুলিশি হয়রানি করে।

 

 

মাইনুদ্দিনের বড় ছেলে মো. জাহাঙ্গীর জানান, তার ভাই সরোয়ারের ২০১৫ সালে কোস্টগার্ডে চাকরি নেন। ওই মামলায় সরোয়ারকেও আসামি দেয়া হয়। মামলায় জড়িয়ে যাওয়ার সরোয়ারের চাকরি চলে যায়।

 

 

তিনি জানান, চাচা ও চাচাত ভাইদের অত্যাচারের শিকার হয়ে তিনি দীর্ঘবছর এলাকার বাইরেও ছিলেন। বাড়িতে আসার পর মিথ্যে অভিযোগে একের পর এক মামলায় জড়ানো হয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও আদালতে সাতটি মামলায় তাদেরকে জড়ানো হয়েছে। এর বাইরেও স্থানীয়ভাবে প্রভাব বিস্তার করে নানা রকমেরর হয়রানি করে আসছেন। সম্প্রতি প্রশাসনের প্রচেষ্টায় ষড়যন্ত্র করছে বলে জাহাঙ্গীরের অভিযোগ।

 

 

এসব বিষয়ে কথা হয় ছোটভাই ফরিদ উদ্দীনের সাথে। তিনি জানান, বড় ভাই তার বাবার জমি গোপনে নিজের নামে ক্রয় করেছেন। এটা আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আমি ওই জমির ব্যপারে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। মামলা ও হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিথ্যে অভিযোগ, তিনি বা তার ছেলেরা কখনোই হামলার ঘটনায় জড়াননি।

 

 

ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজির হোসেন কালু (কালু পাটোয়ারী) বলেন, দুই ভাইকে নিয়ে একাধিকবার মিমাংসার প্রচেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তারা নিজেরাই শান্তি ভঙ্গ করছে। এ বিরোধের নিষ্পত্তি আমার দ্বারা অসম্ভব।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD