শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৬ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ মাত্র দেড় আনা স্বর্ণের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে শিশু তাশফিয়া আক্তার হাজেরাকে (৯) নির্মমভাবে খুন করেছেন রনি বেগম (২১) ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে সদর ইউনিয়নের নোয়াহাটি গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড হয়। সন্দেহবশত জনতার হাতে আটক রনি বেগমসহ তিনজন হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। পরে গভীর রাতে পুলিশ ঘটনার মূল হোতা রনিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে।
তাদের দেওয়া তথ্য মতে, সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলীর বাড়ির পাশে লাকড়ির নিচ থেকে হাজেরার মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। বুধবার সকালে হাজেরার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুপুরের দিকে হাজেরার কানের দেড় আনা স্বর্ণ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ, স্থানীয় লোকজন ও নিহত শিশুর স্বজনরা জানান, নোয়াহাটি গ্রামের আব্দুল কাদের মিয়ার কন্যা শিশু হাজেরা। এক ছেলে এক মেয়ের মধ্যে হাজেরাই বড়। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী হাজেরাকে দেড় আনা স্বর্ণ দিয়ে দুটি গয়না তৈরি করে দিয়েছিলেন বাবা।
ওই স্বর্ণের ওপর নজর পড়ে একই গ্রামের মতিন মিয়ার মেয়ে রনি বেগমের। গত ৫-৬ দিন ধরে রনি সময় অসময়ে হাজেরার বাড়িতে যাওয়া আসা শুরু করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর সে হাজেরাকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। এরপর থেকেই নিখোঁজ হাজেরা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। ওই সময় রনির চলাফেরা ও কথাবার্তায় অসংলগ্নতা দেখে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। পরে স্থানীয় লোকজন প্রথমে রনিকে পরে হোসেন মিয়া ও জামিরকে (২২) আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন রনি।
তার তথ্য মতে, শিশু হাজেরার লাশ উদ্ধার করেন স্বজনরা। বুধবার সকালে পুলিশ শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। রনির দেয়া তথ্যানুসারে দুপুরে হাজেরার কানের দেড় আনা ওজনের স্বর্ণের গয়নাও উদ্ধার করে পুলিশ।
বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুশান্তের দোকানে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে রনি ৪ হাজার টাকায় তা বিক্রি করেছিলেন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন (তদন্ত) বলেন, শিশুটির গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা তদন্তের পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
Leave a Reply