সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২০ অপরাহ্ন
ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন শাহ বাবুল মুক্তিযুদ্ধ করেননি এমন অভিযোগ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে। উপজেলার দক্ষিণ শিয়ালকাঠী এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আ ফ ম আলী বাহাদুর, ধাওয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ এবং ভিটাবাড়ীয়া গ্রামের রেজাউল করিম এ তিন জন মুক্তিযোদ্ধা এ অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত মো. শাহাবুদ্দিন শাহ বাবুলের বাড়ি ভান্ডারিয়া শহরের লক্ষীপুরা এলাকায়।
শাহাবুদ্দিন শাহ বাবুল স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর প্রতিনিধি হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য হয়েছেন। বাছাই কমিটির সদস্য নন এরকম দুই জনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে। এরা হলেন, মৃত আ. গনি শাহ ও আ. আজিজ হাওলাদার।
ভান্ডারিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল আলম জানান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ বিষয়ে তদন্ত করার জন্য গত ৯ ফেব্রুয়ারি নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগকারী ও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাদেরকে নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে ১৪ ফেব্রুয়ারি সবাইকে উপস্থিত হতে বলা হয়।
ভান্ডারিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা বাচ্চু জানান, তিনি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। মো. শাহাবুদ্দিন শাহ বাবুল স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি, নিজামুল হক নান্না জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
নোটিশ দেওয়ার পর মো. শাহাবুদ্দিন শাহ বাবুল হাজির হয়ে তার স্বপক্ষে প্রমাণপত্র উপস্থাপন করেন। আর সাক্ষী হাজির করার জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি সময় চেয়েছেন। মো. শাহাবুদ্দিন শাহ বাবুল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতেু বিষয়টির তদন্ত চলছে, সে কারণে এই মুহূর্তে কোনও মন্তব্য করবো না।
তবে মো. শাহাবুদ্দিন শাহ বাবুল বলেন, আমি ভান্ডারিয়ায় মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিয়েছি। আর যুদ্ধও করেছি ভান্ডারিয়ায়। আমি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাজ বেশি করি, এ কারণে অনেকেই আমার প্রতি ঈর্ষান্বিত। সামনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন, তাই আমাকে হেয় করার জন্য এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের শেষের দিকে আমার বিরুদ্ধে এ রকম একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল, সেটাও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তার বাবা মৃত আ. গনি শাহও মুক্তিযুদ্ধ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
Leave a Reply