রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :
অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকারের পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠনসহ চার দফা দাবী আদায়ের লক্ষে বরিশালে গনঅবস্থান কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নগরের অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট বরিশাল জেলা শাখা’র উদ্যোগে এ কর্মসূচী পালন করা হয়।
গনঅবস্থান কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট বরিশাল জেলা শাখার সমন্বয়ক অধ্যাপক নৃপেন্দ্র নাথ বাড়ৈ। কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের বরিশাল জেলা সদস্য সচীব ডা. নিষা চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন করে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে অবৈধভাবে সরকার গঠন করেছে। আমরা চাইনা ২০১৪ সালে মতো এদেশে আর কোন নির্বাচন হোক। দলীয় সরকারের অধিনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠ হতে পারেনা।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ৩০ জুলাই বরিশাল সিটি কপোরেশন নির্বাচনে জনগনের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে প্রমান করেছে এসরকারের অধিনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারেনা। বরিশাল সিটি কপোরেশন নির্বাচনকে ঐতিহাসিক নির্বাচন আখ্যা দিয়ে মনিষা বলেন, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বরিশাল সিটি কপোরেশন নির্বাচন বাতিল করতে বলেছিলেন। আর একারনে তাকে হেয় করে কোনঠাসা করা হয়েছে। তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে র্নিদোলীয় সরকারের অধীনে এবং সেনাবাহীনি মোতায়ন করার। কিন্তু তার কথা না শুনে তাকে বক্তব্য দিতে দেয়া হয়নি। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধিনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হবেনা। নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
মনিষা চক্রবর্তী আরো বলেন, বর্তমান সরকার ও তার মন্ত্রীরা জনগনের টাকা চুরি করে সেই টাকায় ভোটের প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন। তারা আবারো ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ অন্ধকারে তলিয়ে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গনঅবস্থান কর্মসূচীতে আরো বক্তব্য রাখেন, কমিউনিষ্ট পার্টির বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি এ্যাডভোকেট একে আজাদ, কমিউনিষ্ট পার্টির বরিশাল জেলা শাখার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মিজানুর রহমান, বাসদের মাকর্সবাদী বরিশাল জেলা আহবায়ক সাইদুর রহমান, গনসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচীব হারুন অর রশিদ মাহমুদ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ভোটার বিহীন নির্বাচনের জন্য জনগনকেব মাসুল দিতে হয়েছে। সরকারের প্রতি মানুষের আস্তা হারিয়ে গেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পূর্বে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। আমরা চাই প্রতিনিধিত্ব মুলক নির্বাচন।
এসময় বক্তারা আরো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও ৫৭ ধারা করে সরকার মানুষের কন্ঠ রোধ করতে চাইছে। একই সাথে তারা মসনদ দখল করতে সাংবাদিকদের ৫৭ ধারায় আওতায় এনে সাস্তির ব্যবস্থা করেছে। যাতে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বলতে না পারে। আর ডিজিটাল আইনে বিরোধী শক্তিকে দমন করার চেষ্টা করছে।
পরে বক্তারা, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকারের পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেয়া, জনগণের আস্থাহীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠন , সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ গোটা নির্বাচন ব্যবস্থার আমুল সংস্কার করার দাবী জানান।
Leave a Reply