বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল॥ স্ত্রীকে রাগের বশে তিন তালাক দিয়ে বসেন স্বামী। এরপর গোপনে ওই গৃহবধূ তিন তালাকের সুরাহা চাইতে যান এক সাব-কাজির কাছে। ওই কাজি হিল্লা বিয়ের কথা বলে গৃহবধূর সঙ্গে যৌন মিলন করেন।
এ ধরনের একটি ভিডিও গত দুইদিন ধরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের বাঁশহাটি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাব-কাজি হচ্ছেন ওই এলাকার মৃত আলী আকবর মাস্টারের ছেলে হাফেজ আরিফ রাব্বানী। নিজের এলাকায় একটি ঘরে আড়ালে এক নারীর সঙ্গে অবৈধ সর্ম্পকে লিপ্ত হয়েছেন হুজুর রব্বানী ওরফে শাহজাহান। এ ধরনের একটি ভিডিও কে বা কারা ধারণ করে ফেসবুকে আপলোড করেছেন। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা।
এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন কাজী আরিফ রব্বানী। তার দুটি মোবাইল নাম্বারই বন্ধ রয়েছে। তবে জানা গেছে অভিযুক্ত সাব-কাজি নান্দাইল উপজেলার এক নিকাহ রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলেন। তাকে (অভিযুক্ত কাজি) উদ্ধার করার জন্য অনুরোধ করেন।
ওই নিকাহ রেজিস্ট্রার জানান, গত এক সপ্তাহ আগে এক অপরিচিত নারী তার কাছে গিয়ে বলেন তার স্বামী রাগের বশে তিন তালাক দিয়েছিলেন। এখন স্বামী ভুল বুঝতে পেরে ফেরৎ নিতে চান। এ অবস্থায় কি করণীয়? তখন তিনি ওই নারীকে হিল্লা বিয়ের পরামর্শ দেন। নারী তাকেই বিয়ে করতে রাজি হন। পরে তিনি মেলামেশা করেছেন। আর এ ঘটনাটি একটি চক্র গোপনে ভিডিও ধারণ করেছে।
ভিডিওটি ধারণ করেছে এলাকার এক স্কুলছাত্র। কথা হয় তার সঙ্গে। সে বলে, এই ঘরে গত এক সপ্তাহ ধরে এক নারী হুজুরের কাছে আসেন। অনেক্ষণ থেকে আবার চলে যান। প্রথমে বিষয়টি বুঝতে না পারলেও একদিন আড়ালে থেকে দেখতে পাই ওই নারীকে নিয়ে টানাটানি করেন হুজুর। পরে আরেক দিন ওৎ পেতে ভিডিওটি করি। পরে দেখা যায় ওই নারীর সঙ্গে হুজুর আপত্তিজনক অবস্থায় মেলামেশা করছেন। পরে ঘটনাটি অনেকেই জেনে যায়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক জানান, এর আগে ওইখানে অনেক ধরনের অপকর্মের কথা শোনা গেছে। সব সময় তিনি পার পেয়ে যান। এবার রক্ষা পাননি। এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং নারীর খোঁজ করছেন। অচিরেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কথা বলতে অভিযুক্ত আরিফ রাব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার দুটি মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এ ঘটনায় বাড়িতে গেলে চাচা সর্ম্পকের আত্মীয় আব্দুর রাশিদ মাস্টার বলেন, এটা দেখা ও শোনার পর খুবই লজ্জা পেয়েছি। পরে তাকে ডেকে এনে চড়-থাপ্পর দিয়ে শাসন করেছি। এরপর থেকে সে এলাকা ছাড়া।
Leave a Reply