মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন
রাব্বি হোসেন॥ বরিশাল নগরীতে সমস্যার যেন শেষ নেই। একদিকে যানজট তো অন্যদিকে বায়ু দূষণ। আর রাস্তায় বের হলেই কানে আসে নানা রকমের শব্দ। এই শব্দের বেশির ভাগই তৈরি হয় গাড়ির হর্ন থেকে। নগরীতে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার অবৈধ হলেও মানছেন না কেউ।
এক সময় নগরীর ট্রাফিক পুলিশ এসব হর্ন খুলে নিয়ে জরিমানা করে থাকেন। অনেকে জেনেও ব্যবহার করছেন এসব হর্ন। শব্দ দূষণের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ট্রাফিকবিভাগের সদস্যসহ সাধারণ মানুষ। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। এক ট্রাফিক কর্মকর্তা বলেন, ‘ডিউটি করার সময় অতিরিক্ত শব্দের কারণে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। আর মাঝে মাঝেই প্রচুর মাথা ব্যথা করে। আইন প্রয়োগের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, আমরা মাঝে মধ্যে এসব গাড়িকে জরিমানা করি যারা হর্ন ব্যবহার করে, কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয় না।
এ বিষয় বরিশাল শেরে- বাংলা মেডিকেল কলেজের নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ এস এম গোলাম সরোয়ার বলেন ,অতিরিক্ত শব্দের কারণে কানের টিস্যু গুলো ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে যায়।
এছাড়াও রক্ত যেসব ধমনী দিয়ে প্রবাহিত হয় তাদের উপর চাপ তৈরি করে। ফলে মস্তিস্কের ভিতরে এবং হৃদপিন্ডে ভিতরে ছোট ধমনী গুলো ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আর শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছ- কানে কম শোনা সহ,শ্রবনশক্তি হারিয়ে ফেলা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্থায়ী মাথাব্যথা, ক্ষুধামন্দা, অবসাদ, নিদ্রাহীনতাসহ নানাবিধ জটিল রোগে। তিনি আরো বলেন, ০ থেকে ডেসিবল শব্দ ৯০ এর উপরে উঠলে মানবদেহে বেশি ক্ষতি হয়। একজন মানুষের যখন নাক বন্ধ থাকে সে মুখ থেকে অক্সিজেন নেন তখন মুখের ভিতরে ধুলা বালু যেতে পারে,তাতেও ক্ষতি হচ্ছে।
Leave a Reply