শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: নিরাপরাধ এক ব্যক্তিকে ক্রসফায়ারের ভয়ভীতি দেখিয়ে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগটির প্রমাণ মিলেছে ঝালকাঠি সদর থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিঠুন দাস ও সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিন্টু লালের বিরুদ্ধে।এই ঘটনায় তাদের দুইজনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে সোমবার (২৩ জুলাই) রাতে নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমান।
অবশ্য গত ২ জুলাই অনলাইন নিউজপোর্টাল ‘বরিশাল ক্রাইম নিউজ’ এ ‘ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে এএসআইয়ের লাখ টাকা চাঁদাবাজি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশের পরেই সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিঠুন দাসকে থানা থেকে ক্লোজড করা হয়েছিল।
একই সাথে পুরো বিষয়টির তদন্তভার দেওয়া হয় ঝালকাঠি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম মাহমুদ হাসাসনকে।এই কর্মকর্তার তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রোববার (২২ জুলাই) রাতে তাদেরকে এসপির নির্দেশে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এর আগে গত ১৪ জুন শহরের চামটা ব্রিজের পাশ থেকে পৌরসভার কর্মচারী ইয়াছিনকে এক সোর্সের মাধ্যমে ইয়াবা দিয়ে ধরে নিয়ে যান এএসআই মিঠুন দাস ও মিন্টু লাল। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তিকে পার্শ্ববর্তী একটি ইটের ভাটায় আটকে মারধর করে ক্রসফায়ারের ভয়ভীতি দেখান দুই পুলিশ কর্মকর্তা।
একপর্যায়ে বিষয়টি জনৈক এক কাউন্সিলরের মধ্যস্ততায় এক লাখ টাকায় সমঝোতা হলে কর্মচারী ইয়াছিন নিজের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি বন্ধক রেখে ওইদিন রাতেই টাকা পৌছে দেন মিঠুনে হাতে।
এই বিষয়ে গত ৩০ জুন ভুক্তোভোগী ইয়াছিন মিডিয়ার কাছে মুখ খোলেন। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে ভিডিও সংবলিত ‘ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে এএসআইয়ের লাখ টাকা চাঁদাবাজি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে বরিশাল ক্রাইম নিউজ। এতেই শুরু হয় ঝালকাঠি পুলিশে তোলপাড়।
যদিও বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পরেই সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ সুপার জোবায়দুর রহমান বলে আসছিলেন অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকলেন তিনি।’
ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমানের ভাষ্য হচ্ছে- অপরাধ বা অপরাধীর সাথে আপোষ করার কোন সুযোগ নেই। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় তাদের দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিষয়টি তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
Leave a Reply