বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক।। এবার হুজুগে পেঁয়াজ না কেনায় বিপাকে পড়েছেন কুমিল্লার অসাধু ব্যবসায়ীরা। জেলার কয়েকশ গুদামে মজুত করা পেঁয়াজ এখন পচে যাচ্ছে। মজুত করা এসব পেঁয়াজে পচন ধরায় অর্ধেক দামে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে।
পার্শ্ববর্তী দেশ হঠাৎ বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় অধিক মুনাফার আশায় বাজারে কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করে পেঁয়াজ মজুত করেছিল কুমিল্লার বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
এদিকে জেলা প্রশাসন এবং দোকান মালিক সমিতির যৌথ উদ্যোগসহ ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষের প্রচার-প্রচারণায় এবার হুজুগে পেঁয়াজ ক্রয় করেননি ভোক্তারা। এতে কাঙ্ক্ষিত মুনাফা হাতিয়ে নিতে পারেনি সিন্ডিকেটগুলো। ফলে পেঁয়াজ মজুত করে উল্টো লোকসানের মুখে পড়েছে।
জানা যায়, কুমিল্লার বড় বড় বাজার কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আড়তদার এবং সিন্ডিকেটগুলো সুযোগ পেলেই পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নিতে অবৈধ মজুত কর্মকাণ্ড করে আসছে।
সম্প্রতি দেশের বাজারে পেঁয়াজ না থাকায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। এ খবরে জেলার আড়তদাররা পেঁয়াজ মজুত করে রাখেন। ফলে বাজারে কৃত্তিম সংকট দেখা দেয়। এরই মাঝে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হুজুগে অতিমাত্রায় পেঁয়াজ ক্রয় না করতে সচেতনমূলক প্রচার চালানো হয়।
এতে হুজুগে পেঁয়াজ ক্রয় করেননি ভোক্তারা। ফলে পেঁয়াজ মজুত করে চরম বিপাকে পড়ে অবৈধ সিন্ডিকেটগুলো। এসব সিন্ডিকেটের মজুত করা পেঁয়াজগুলো এখন পচে যাচ্ছে। আর পচে যাওয়া থেকে রক্ষা এবং পুঁজি রক্ষায় এসব মজুতদার সব পেঁয়াজ বাজারে তুলছে। ফলে পেঁয়াজের দাম কমে এসেছে।
একজন পাইকারি ব্যবসায়ী জানান, বস্তায় পেঁয়াজে পচন ধরেছে। ৬০ টাকা কেজি পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে বড় লোকসানের অশঙ্কায়। তবু ক্রেতা পাচ্ছি না।
কুমিল্লার ডিসি আবুল ফজল মীর বলেন, বাজারে ভোক্তাদের চাহিদা অনুসারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ রয়েছে, কেউ কৃত্তিম সংকট তৈরি করতে পারবে না। বিষয়টি নিয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখছি।
Leave a Reply