শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ সরকারি বাসভবন শাপলায় প্রবেশ করে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছেন রবিউল ইসলাম (৪৩) নামে সাময়িক বরখাস্তকৃত সরকারি এক কর্মচারী। তিনি ইউএনওর বাসার মালি ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আটক রবিউল ইসলাম পুলিশের নিকট প্রাথমিকভাবে ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক রবিউল ইসলামের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
অন্যদিকে ইউএনওর বাসভবনের নৈশপ্রহরী নাদিম হোসেন পলাশকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ৭ দিনের রিমান্ড শেষে সদ্য বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা আসাদুল হকের রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানো হয়।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব নানা তথ্য জানান রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।
রবিউল ইসলামকে গত ১১ সেপ্টেম্বর আটক করা হয়। তিনি জেলার বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের বিজোড়া ধামাহার ভিমপুর গ্রামের মৃত খতিব উদ্দীনের ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পর থেকে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় রবিউল ইসলাম নামে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সরকারি কর্মচারীকে আমরা আটক করেছি।
ডিআইজি আরও বলেন, রবিউল প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে নিজের দায় স্বীকার করেছে। তার তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বেশকিছু আলামত উদ্ধার করেছি। এছাড়া তার বক্তব্য ও জব্দ করা সিসিটিভ ফুটেজের সাথে মিল পাওয়া গেছে।
এদিকে নতুন করে আটক রবিউল ইসলামকে আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির অফিসার ইনচার্জ। বিচারক অধিক তদন্তের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রেস ব্রিফিং শেষে আটক রবিউল ও এই মামলার প্রধান আসামি আসাদুলকে আদালতে তোলা হয়। মামলার প্রধান আসামি আসাদুল ইসলাম ৭ দিন ধরে রিমান্ডে ছিলেন। অপর নৈশপ্রহরী আর নাদিম হাসান পলাশকে রিমান্ড আবেদন করা হয়নি। তাই তাকেও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply