আমরা যেকোনো মূল্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে বদ্ধপরিকর: ডিএমপি কমিশনার Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
আওয়ামী শাসনে বছরে ১৪ বিলিয়ন ডলার পাচার: শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৬ কিলোমিটার সড়কে তাল বীজ রোপন ঘূর্ণিঝড় ফিনজালের সর্বশেষ অবস্থান, খুলনা-বরিশালে বৃষ্টির পূর্বাভাস ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরনে ঝালকাঠিতে স্মরণসভা বিএনপি শিক্ষাবান্ধব, আওয়ামী লীগ লুটের সরকার: অধ্যক্ষ আলমগীর নগরীতে নিখোঁজ কলেজ ছাত্রী মিলা কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে সহিংস বিক্ষোভ, কড়া প্রতিবাদ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ষড়যন্ত্রের সুতার নাটাই মোদির হাতে: মাসুদ সাঈদী আব্দুল গফুরের ওপর হামলা, উত্তাল তজুমদ্দিন সড়ক চিন্ময়-ইসকন ইস্যু: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সুরক্ষা নিয়ে ভারতের কড়া বার্তা




আমরা যেকোনো মূল্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে বদ্ধপরিকর: ডিএমপি কমিশনার

আমরা যেকোনো মূল্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে বদ্ধপরিকর: ডিএমপি কমিশনার

আমরা যেকোনো মূল্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে বদ্ধপরিকর: ডিএমপি কমিশনার




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ শুধু সরবরাহকারী বা খুচরা বিক্রেতা নয়, মাদক মামলার তদন্তে ‘রুট’ বা উৎস খুঁজে বের করার নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। রাজধানী ঢাকায় গড়ে প্রতি মাসে মাদক সংক্রান্ত মামলা রুজু হয় দেড় হাজার।

 

কিন্তু বেশির ভাগ মামলার তদন্তেই মাদকের উৎস খুঁজে বের করা হয় না। শুধু সরবরাহকারী বা খুচরা বিক্রেতাকে অভিযুক্ত করেই মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করা হয়। এ কারণে মাদকের সরবরাহ কোনোভাবেই কমানো যাচ্ছে না। একজন সরবরাহকারী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে মাদক ব্যবসায়ীরা অর্থের বিনিময়ে আরেকজন সরবরাহকারী নিয়োগ করে থাকে।

 

 

এই প্রেক্ষাপটে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সম্প্রতি মাদক মামলার তদন্তে রুট পর্যন্ত যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। ‘কোয়ালিটি ইনভেস্টিগেশন’ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনার পাশাপাশি কোন আইনে কাকে অভিযুক্ত করতে হবে, তাও উল্লেখ করা হয়েছে কমিশনারের নির্দেশনায়।

 

 

ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, যারা মাদক ব্যবসা করে, ওর কাছে টাকা দিয়ে ক্যারিয়ার জোগাড় করা কোনো বিষয় না। আমি আজকে একজন ক্যারিয়ারকে ধরলাম, কাল সে আরো বেশি টাকা দিয়ে আরেকজন ক্যারিয়ার ঠিক করলো। আসলে মাদকে যে ব্যক্তি বিনিয়োগ করছে তার কাছে পৌঁছাতে না পারলে শুধু ক্যারিয়ার বা বহনকারী ধরে কোনো লাভ হবে না। সেজন্যই আমরা যতদূর যেতে পারি সেটা এনসিওর করতে কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছি।

 

 

ডিএমপি কমিশনার বলেন, এখন একটা মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার সিনিয়র অফিসার ইনভলভ হচ্ছেন, আমার ডিবির অফিসার ইনভলভ হচ্ছেন। ইনভলভ হয়ে মাদক মামলার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। সে কোথায় মাদক পৌঁছে দিতে চেয়েছিল এবং কার কাছ থেকে মাদক এনেছে, রাস্তায় কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, সবগুলো বিষয় নিয়ে কাজ করছি। আমরা যেকোনো মূল্যে মাদক সরবরাহ ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনতে চাই।

 

 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম জোন ও গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এতদিন মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বেশিরভাগ সময় ক্যারিয়ার বা সরবরাহকারীদের ধরা হতো। এরপর মামলা হলেও ওই মাদক মামলায় মূল বিনিয়োগকারী বা মাদকের উৎসমূলে যাওয়ার প্রবণতা ছিল অনেক কম। মাদকের সঙ্গে গ্রেফতার ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হতো। মাদক মামলা নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের নতুন নির্দেশনার পর তদন্তে মাদকের সঙ্গে জড়িত সব পক্ষকে শনাক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

 

 

ডিএমপি কমিশনারের এই নির্দেশনা ঘেঁটে দেখা গেছে, এখন থেকে মাদক মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ক্রিমিনাল ফোনবুক তৈরি করতে হবে। এ জন্য ডিএমপি থেকে একটি নির্দিষ্ট ছক তৈরি করে দেয়া হয়েছে। ফোনবুকে মাদক ব্যবসায়ীর সম্পর্কে চিত্র বা লিংক চার্ট ও মাদক প্রবাহচিত্র বা ফ্লো চার্ট তৈরি করে মাদক উদ্ধার সংক্রান্ত ব্যাকওয়ার্ড ও ফরোয়ার্ড লিংকেজ বের করতে হবে। মাদক মামলার তদন্তে মাদক ব্যবসায়ীর অন্তত তিন মাসের সিডিআর বা কল ডিটেইলস রেকর্ড পর্যালোচনা করতে হবে। আসামিদের মোবাইল ফাইন্যান্সিং সার্ভিস অর্থাৎ বিকাশ, রকেট ও নগদ ইত্যাদির নম্বর ও লেনদেন বিবরণী সংগ্রহ করে অর্থ প্রবাহ চিত্র বা মানি ফ্লো চার্ট তৈরি করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ মাদক মামলার ক্ষেত্রে অর্থ-লগ্নিকারীদের পরিচয় বের করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক মামলা করতে হবে।

 

 

ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মাদক মামলায় গ্রেফতার আসামিদের জাতীয় পরিচয়পত্র, মোবাইল নম্বর, নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে ক্রিমিনাল ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা সিডিএমএস, এসআইভিএস বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইত্যাদি ব্যবহার করে পরিচয় শনাক্ত করতে হবে। একইসঙ্গে সব তথ্য সিডিএমএস-এ সংযোজন করে ও ছবিসহ পূর্ণাঙ্গ প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এছাড়া সাক্ষীদের নাম-ঠিকানার সঙ্গে মোবাইল নাম্বার ও পুলিশ সাক্ষীদের ক্ষেত্রে বিপি নম্বর সংযুক্ত রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

 

 

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জোনাল সহকারী কমিশনার বা গোয়েন্দা পুলিশের টিম লিডাররা ‘দায়সারা ও গৎবাঁধা তদন্ত তদারকি নোট প্রদান করেন’ উল্লেখ করে নির্দেশনায় বলা হয়, জোনের এসিদের ক্ষেত্রে আওতাধীন প্রত্যেকটি থানায় দায়ের হওয়া মাদক মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে যথাযথ তদন্ত তদারকি নিশ্চিত করতে হবে। ক্রাইম জোনের এসি বা ডিবির টিম লিডারদের তদন্তাধীন মাদক মামলায় মাদক ব্যবসায়ীর সম্পর্কে চিত্র, মাদকের প্রবাহ চিত্র ও অর্থ প্রবাহের চিত্র তৈরি করা নিশ্চিত করবেন।

 

 

ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনায়, মাদক উৎপাদনকারী থেকে শুরু করে ক্রেতা পর্যন্ত প্রত্যেক ক্ষেত্রে কাকে মানি লন্ডারিং ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের কোন ধারায় অভিযুক্ত করতে হবে তাও উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।

 

 

সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, মাদকের অর্থ প্রবাহ শুরু হয় মাদকাসক্ত ক্রেতার কাছ থেকে। ক্রেতার কাছ থেকে অর্থ যায় খুচরা বিক্রেতার কাছে। খুচরা বিক্রেতার কাছ থেকে অর্থ যায় পাইকারি মাদক বিক্রেতার কাছে। পাইকারি বিক্রেতা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে অর্থ পাঠায় ডিলার ও বাহকের কাছে। বাহকের মাধ্যমে অর্থ যায় গাড়ির মালিক ও চালকের কাছে। ডিলার হুন্ডি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে অর্থ পাঠায় মাদক প্রস্তুতকারী বা কারখানার মালিকদের কাছে। একই সঙ্গে সীমান্ত এলাকার সহযোগীদের কাছে টাকা পাঠায় ডিলার। মামলার তদন্তে প্রত্যেককে শনাক্ত করার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

 

 

গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, মাদক মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা মাদক নির্মূলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কারণ, লিংক চার্ট খুঁজে বের করা মানে মাদকসহ যাকে গ্রেফতার করা হবে, সে কার কাছে মাদকগুলো পৌঁছে দিতো এবং কার কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে, এই দুই দিকেই অনুসন্ধান শুরু করলে কারখানা থেকে ক্রেতা পর্যন্ত প্রত্যেককেই শনাক্ত করা যাবে। কিন্তু আগে তদন্তের ক্ষেত্রে শুধু যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকেই অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হতো। এ কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মূল হোতা বা ব্যবসায়ীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যেতো।

 

 

ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যেকোনো মূল্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে বদ্ধপরিকর। এ কারণে তদন্তে নতুন ডাইমেনশন আনার চেষ্ট করছি। গভীরতর তদন্ত করলে একটা সফলতা আসবেই। আমরা যদি মাঠপর্যায় থেকে রুট পর্যন্ত লোকজনকে শনাক্ত করতে পারি, তাহলে তো অন্তত তাদের চেইনটা নষ্ট করা যাবে। আমরা মাদক ব্যবসার চেইনগুলো নষ্ট করে দিতে চাই।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD