ভোলার ইলিশার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হিন্দু যুবককে হয়রানির অভিযোগ : মোটা অঙ্কের টাকা Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
রক্তচক্ষু বা ধমকের প্রভাব থেকে দূরে থাকুন: ডিসিদের প্রধান উপদেষ্টা গণতন্ত্র রক্ষায় জনগণের মতামত গুরুত্বপূর্ণ: জহির উদ্দিন স্বপন ৪-দলীয় ভলিবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন পিরোজপুর একাদশ অপারেশন ডেভিল হান্ট: সারাদেশে গ্রেপ্তার ৪৭৭ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জামায়াতের নায়েবে আমীরের জাতীয় নির্বাচন আগে, স্থানীয় নির্বাচন পরে: মির্জা ফখরুল গুম ও আয়না ঘর উন্মোচনের দাবিতে বরিশালে মানববন্ধন অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু, বললেন ড. ইউনূস শেখ হাসিনার বিচার না হলে দেশের জনগণ ক্ষমা করবে না: ড. ইউনূস বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদির নিরবতা, ট্রাম্পের ব্যাখ্যা




ভোলার ইলিশার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হিন্দু যুবককে হয়রানির অভিযোগ : মোটা অঙ্কের টাকা

ভোলার ইলিশার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হিন্দু যুবককে হয়রানির অভিযোগ : মোটা অঙ্কের টাকা




স্টাফ রিপোর্টার:  ভোলার ইলিশায় মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কমল হাওলাদার নামের এক হিন্দু যুবককে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। মামলা মোকাদ্দমার ভয় দেখিয়ে কমলপর কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা লোক মারফতে দাবি করে রফিকুল ইসলাম। মিথ্যা অপবাদ থেকে বাঁচতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে কোন সমাধান পায়নি কমল।

 

 

লিখিত অভিযোগে কমল হাওলাদার জানান, ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের রাস্তার মাতা এলাকার খিতিশ চন্দ্র হাওলাদারের ছেলে কমল হাওলাদার এলাকায় দিনমজুরের কাজ করে বসবাস করে আসছে। স্থানীয় সিদ্দিকের ছেলে ড্রাইভার রফিকুল ইসলাম হয়রানি করার জন্য কমলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ প্রচার করে। রফিক স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধিদের কাছে বলে বেড়ায় তার ছোট্ট মেয়েকে কমল হাওলাদার টাকার লোভ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। বিষয়টি লোকমুখে শুনতে পেরে কমল ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে অবগত করেন। কয়েকদিন পর কমলকে র‍্যাব অফিস থেকে ফোন দিয়ে অফিসে দেখা করার কথা বলে।

 

সেখানে গিয়ে কমল জানতে পারে রফিক তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। কমল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বিষয়টি র‍্যাব অফিসে খুলে বললে সেখান থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হঠাৎ একদিন পুলিশের কিছু লোক রাতের বেলায় কমলের বাসায় আসে। তাদেরকেও কমল এই মিথ্যা অপবাদের বিষয়টি খুলে বলে। পরে পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে চলে যায় ৷ কোন কিছুতেই কমলকে ঘায়েল করতে না পেরে রফিকুল ইসলাম অন্য লোক দিয়ে ফোন দিয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে বলে। পঞ্চাশ হাজার টাকা দিলে রফিকুল ইসলাম কমলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তুলে নেবে। কমল টাকা দিতে অস্বীকার করায় রফিকুল ইসলাম তাকে মামলা-মোকদ্দমার ভয় দেখায়। এছাড়াও কমলকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয় রফিকুল ইসলাম। হুমকি-ধামকির ভয়ে বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে কমল হাওলাদার।

 

 

কান্না জড়িত কন্ঠে কমল হাওলাদার বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী রফিকুল ইসলাম ড্রাইভার তার ছোট্ট মেয়ে দিয়ে নাটক সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপবাদ প্রচার করে। সে আমাকে পুলিশ ও র‍্যাব দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করেছে। অন্য লোক দিয়ে আমাকে ফোন দিয়ে রফিক পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করে। তাকে টাকা দিলে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তুলে নিবে। নয়তো মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে আমাকে হয়রানি করবে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় এসে বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। তার ভয়ে আমি আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। আমি যাতে এলাকায় সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করতে পারি সেজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

 

এ ব্যাপারে মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার দিন আমরা যখন নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম তখন আমার ছোট্ট মেয়ে দোকানদারের বসেছিল। এমন সময় কমল হাওলাদার আমার মেয়ের পাশে বসে থাকে ১০০ টাকার লোভ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। আমি নামাজ পড়ে আসলে আমার মেয়ে আমাকে সবকিছু খুলে বলে। পরে আমি বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জানাই এবং র‍্যাব অফিসে ও থানায় অভিযোগ দায়ের করি। তার বিরুদ্ধে কয়দিন আগে মামলা করেছি। পঞ্চাশ হাজার টাকা চাওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

 

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন, কমল হাওলাদার খুবই ভাল একজন ছেলে। তার বিরুদ্ধে এর আগে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। রফিক মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে৷ এর আগেও ড্রাইভার রফিকুল ইসলাম তার মেয়েদেরকে দিয়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এটা তার পুরানো অভ্যাস। সে প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় লোকজন তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে সাহস পায় না।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD