বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ করোনা (কোভিড-১৯) পরীক্ষার নামে জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে এবার সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীকে মুখোমুখি করবে পুলিশ।
তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, আরিফুল হক চৌধুরী গ্রেফতার হওয়ার পর স্ত্রী সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠানের চারজনের বিরুদ্ধে দোষ চাপিয়েছেন। অন্যদিকে সাবরিনা বলেছেন, যা কিছু ঘটেছে তার দায় স্বামীর। তিনি জালিয়াতির বিষয়গুলো বুঝতে পারেননি।
এদিকে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশ আদালতের কাছে আরিফুলকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছে। এ প্রসঙ্গে ডিবির উপকমিশনার (তেজগাঁও) গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, আমরা মামলাটাকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে চাইছি। সে কারণেই আরিফুল হক চৌধুরীকে আবারো রিমান্ডে চেয়েছি। এ বিষয়ে আদালত শুনানি শেষে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
করোনাভাইরাস পরীক্ষার টেস্ট না করেই রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে রোববার গ্রেফতার করা হয়। পরে সোমবার তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
করোনা পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে গ্রেফতার হওয়া জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফ চৌধুরীর প্রতারণার নেপথ্যে ছিলেন তার স্ত্রী ডা. সাবরিনা। তাদের এক ল্যাপটপেই পাওয়া গেছে ১৫ হাজারেরও বেশি করোনার ভুয়া টেস্ট রিপোর্ট।
এর আগে ভুয়া করোনা রিপোর্ট তৈরির জন্য ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে, জেকেজি হেলথ কেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টেস্টের রিপোর্ট দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানটির ল্যাপটপে তৈরি করা হয়। উদ্ধার করা ল্যাপটপে এর প্রমাণ মিলেছে। আরিফ চৌধুরী জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানান, জেকেজির ৭ থেকে ৮ কর্মী ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করেন।
Leave a Reply